বরিশাল ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের, ছি ছি হাসিনা লজ্জায় পালাইছে রাজাপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গন সমাবেশ রাজাপুরে ৩ কেজি গাঁজাসহ যুবক আটক বরিশালে ওয়ান ব্যাংকের কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে নোটিশ দিনমজুর থেকে কোটিপতি সুমন মেম্বার গৌরনদীর শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ মডেল সঃ প্রাঃ বিদ্যালয় শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক শফিকুল, সহকারি অনন্যা কাঠালিয়ায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গন সমাবেশ ভান্ডারিয়া জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক গর্ভবতী নারীসহ তিন জনকে পিটিয়ে জখম ভান্ডারিয়ায় দাপুটে যুবলীগ নেতা ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ আয় ও জুলুমের অভিযোগ কালকিনিতে আশির্ধ বয়সী বৃদ্ধ কে পিটিয়ে আহত

সূর্যের দেখা নেই, ঠান্ডা-কুয়াশায় কাহিল নিম্ন আয়ের মানুষ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:২১:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪ ১৯১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক— হামার কি বসি খাওয়ার দিন আছে। শীতত হাত পাও সিক নাগে তবু কামত যাওয়া নাগে। কাম না করলে খামু কী। অইদ হউক আর শীত হউক হামাক কাম করিয়ে খাওয়ায় নাগবে।

কথাগুলো বলছিলেন দিনমজুর নিতিশ চন্দ্র বর্মণ। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে রংপুরের লালবাগ এলাকা থেকে কাজ করে বাড়ি ফেরার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা সারা বছর দিনমজুরি করি সংসার চালাই। ভোরে বাড়ি থেকে বের হই এরপর রংপুরের যেখানে কাজ পাই সেখানে চলে যাই। কাজ শেষে বিকেলে বাড়ি ফিরি। যেদিন যা উপার্জন হয় তা দিয়েই সংসার চলে। আর যেদিন কাজ পাওয়া যায় না সেদিন খালি হাতে ফিরতে হয়। সেদিন বাড়িতে কাজ করি।

শীতের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বছর খুব শীত পড়ছে। শীতের কাপড় গায়ে দিয়েও ঠান্ডা লাগে। বাড়ি থেকে যখন বের হই তখন হাত-পা বরফ হয়ে যায়।

রফিকুল ইসলাম নামের আরেকজন বলেন, ঠান্ডাত তো কিছু করার ইচ্ছা করে না। পেটের দায়ে করা লাগে। কাজ-কামও আগের মতো পাওয়া যাচ্ছে না। যখন যা পাচ্ছি তাই করছি।

এদিকে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে রংপুরে সূর্যের দেখা মিলছে না। প্রচণ্ড শীত ও ঠান্ডা বাতাসে কাহিল হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা নেওয়ার চেষ্টা করছেন অনেকে।

রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে রংপুরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। ফলে দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান কম হওয়ায় প্রচণ্ড শীত অনুভূত হচ্ছে এ অঞ্চলে।

এদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে প্রায় ৪২ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের বেশির ভাগই শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের উষ্ণতা নিতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। আবার কেউ কেউ শীত নিবারণে গরম পানি ব্যবহার করতে গিয়েও দগ্ধ হয়েছেন।

এ ছাড়া রমেক হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতের প্রকোপে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত রোগীদের ভর্তির চাপ। গত কয়েক দিনের তুলনায় হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সূর্যের দেখা নেই, ঠান্ডা-কুয়াশায় কাহিল নিম্ন আয়ের মানুষ

আপডেট সময় : ০৯:২১:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক— হামার কি বসি খাওয়ার দিন আছে। শীতত হাত পাও সিক নাগে তবু কামত যাওয়া নাগে। কাম না করলে খামু কী। অইদ হউক আর শীত হউক হামাক কাম করিয়ে খাওয়ায় নাগবে।

কথাগুলো বলছিলেন দিনমজুর নিতিশ চন্দ্র বর্মণ। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে রংপুরের লালবাগ এলাকা থেকে কাজ করে বাড়ি ফেরার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা সারা বছর দিনমজুরি করি সংসার চালাই। ভোরে বাড়ি থেকে বের হই এরপর রংপুরের যেখানে কাজ পাই সেখানে চলে যাই। কাজ শেষে বিকেলে বাড়ি ফিরি। যেদিন যা উপার্জন হয় তা দিয়েই সংসার চলে। আর যেদিন কাজ পাওয়া যায় না সেদিন খালি হাতে ফিরতে হয়। সেদিন বাড়িতে কাজ করি।

শীতের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বছর খুব শীত পড়ছে। শীতের কাপড় গায়ে দিয়েও ঠান্ডা লাগে। বাড়ি থেকে যখন বের হই তখন হাত-পা বরফ হয়ে যায়।

রফিকুল ইসলাম নামের আরেকজন বলেন, ঠান্ডাত তো কিছু করার ইচ্ছা করে না। পেটের দায়ে করা লাগে। কাজ-কামও আগের মতো পাওয়া যাচ্ছে না। যখন যা পাচ্ছি তাই করছি।

এদিকে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে রংপুরে সূর্যের দেখা মিলছে না। প্রচণ্ড শীত ও ঠান্ডা বাতাসে কাহিল হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা নেওয়ার চেষ্টা করছেন অনেকে।

রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে রংপুরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। ফলে দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান কম হওয়ায় প্রচণ্ড শীত অনুভূত হচ্ছে এ অঞ্চলে।

এদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে প্রায় ৪২ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের বেশির ভাগই শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের উষ্ণতা নিতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। আবার কেউ কেউ শীত নিবারণে গরম পানি ব্যবহার করতে গিয়েও দগ্ধ হয়েছেন।

এ ছাড়া রমেক হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতের প্রকোপে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত রোগীদের ভর্তির চাপ। গত কয়েক দিনের তুলনায় হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।