বরিশাল ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গৌরনদীতে ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলা ও বাইকে অগ্নিসংযোগ, ২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ২ বরিশালে পুলিশ বক্সে হামলা অজ্ঞাত ৩০০ জনের নামে মামলা মাদারীপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলকারীদের সঙ্গে পুলিশ-ছাত্রলীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১ আক্রমণ না করার শর্তে ববি ক্যাম্পাস ছেড়েছে পুলিশ-বিজিবি উজিরপুরে কোটা বিরোধী আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ভোলায় কোটা আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা বাবা মুক্তিযোদ্ধা না তবু ও কোটায় চাকরি তিন ছেলের যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান’র মৃত্যুবার্ষিকীতে গৌরনদীতে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত ভোলায় হাসপাতালে লাশ রেখে পালালেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন, স্বজনদের দাবি হত্যা নলছিটিতে চাচাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় ভাতিজা গ্রেপ্তার

মন্ত্রিসভায় নতুন চার মন্ত্রীর অনুমোদনকে কেন্দ্র করে

সংসদে মারামারিতে জড়ালেন সরকারি ও বিরোধী দলীয় এমপিরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪২:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪ ১৮৮ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্কমালদ্বীপের পার্লামেন্টে মারামারিতে জড়িয়ে পড়লেন সরকারি এবং বিরোধী দলীয় এমপিরা। রোববার (২৮ জানুয়ারি) মন্ত্রিসভায় নতুন চার মন্ত্রীর অনুমোদনকে কেন্দ্র করে পার্লামেন্টের ভেতর কিল-ঘুষি-লাথিতে জড়ান এমপিরা। 

যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালদ্বীপের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর মন্ত্রিসভায় চার সদস্যের সংসদীয় অনুমোদন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় পার্লামেন্টে বিরোধী দল মালদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি (এমডিপি)। এরপরেই শুরু হয় বিশৃঙ্খলা।

ক্ষমতাসীন পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি) এবং মালদ্বীপ প্রগ্রেসিভ পার্টির (পিপিএম) সদস্যরা এর প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষোভ শুরু করে এবং পার্লামেন্টের অধিবেশন চলতে বাধা দেয়। এসময় কান্দিথিমুর এমপি আবদুল্লাহ শাহীম আবদুল হাকিম ঘুষি মেরে কেন্দিকুলহুধুর এমপি আহমেদ ইসা মাটিতে ফেলে দেন। এরপর এই দুই এমপিকে হাতাহাতি করতে দেখা যায়। হাতাহাতির একপর্যায়ে দুই সংসদ সদস্যই চেম্বারের কাছে পড়ে গেলে আবদুল হাকিম মাথায় আঘাত পান। চিকিৎসার জন্য তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

রোববারই সংবাদ সম্মেলনে করে এমডিপি বলেছে, আবদুল্লাহ শাহীম আবদুল হাকিম আত্মরক্ষার্থেই হাতাহাতিতে জড়িয়েছিলেন। এমডিপির সংসদ সদস্য হিসান হুসাইন বলেন, সরকার সমর্থিত এমপিরা যা করেছেন তাতে এমডিপি এমপিদের কাছে আত্মরক্ষা ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না।

আরেক সংসদ সদস্য হাসান জারির এমডিপির একজন সদস্যের হামলায় আঙুলে আঘাত পেয়েছেন। সংঘর্ষের সময় যাতে সংসদ সদস্যরা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে না পারেন সে জন্য পার্লামেন্টে বসানো মাইক্রোফোনগুলো খুলে নেওয়া হয়।

ক্ষমতাসীন পিপিএম এবং পিএনসি জোট এক বিবৃতিতে বলেছে যে, মোহাম্মদ মুইজ্জুর মন্ত্রিসভার অনুমোদন অস্বীকার করাকে সরকার নাগরিকদের যে পরিষেবাগুলো দেয় তাতে বাধা দেওয়ার সমান বলে বিবেচিত হবে।

বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে, মন্ত্রীদের কাজ করার সুযোগ না দিয়ে এবং তাদের কর্মক্ষমতা বিচার না করে সংসদীয় অনুমোদন অস্বীকার করা সরকার পরিচালনায় সহযোগিতার অভাবকে প্রকাশ করছে। সে সঙ্গে, নাগরিকদের যে পরিষেবাগুলো প্রদান করা হয় তার ওপর এমন আচরণ সরাসরি বাধা।’

মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার জন্য এ পর্যন্ত ১৮ জন সদস্য সংসদীয় অনুমোদন লাভ করতে পেরেছেন। তবে অ্যাটর্নি জেনারেল আহমেদ উশাম, আবাসন মন্ত্রী আলী হায়দার, ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ শাহীম আলী সাইদ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বাণিজ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ সাঈদ সংসদের অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিলেন।

সংঘর্ষের পর ক্ষমতাসীন জোটের সদস্য ও সমর্থকেরা সংসদের বাইরে মন্ত্রীদের অনুমোদনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। স্পিকার মোহাম্মদ আসলাম ও ডেপুটি স্পিকার আহমেদ সেলিমের বিরুদ্ধেও অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে জোট।

নিউজটি শেয়ার করুন

মন্ত্রিসভায় নতুন চার মন্ত্রীর অনুমোদনকে কেন্দ্র করে

সংসদে মারামারিতে জড়ালেন সরকারি ও বিরোধী দলীয় এমপিরা

আপডেট সময় : ১২:৪২:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্কমালদ্বীপের পার্লামেন্টে মারামারিতে জড়িয়ে পড়লেন সরকারি এবং বিরোধী দলীয় এমপিরা। রোববার (২৮ জানুয়ারি) মন্ত্রিসভায় নতুন চার মন্ত্রীর অনুমোদনকে কেন্দ্র করে পার্লামেন্টের ভেতর কিল-ঘুষি-লাথিতে জড়ান এমপিরা। 

যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালদ্বীপের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর মন্ত্রিসভায় চার সদস্যের সংসদীয় অনুমোদন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় পার্লামেন্টে বিরোধী দল মালদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি (এমডিপি)। এরপরেই শুরু হয় বিশৃঙ্খলা।

ক্ষমতাসীন পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি) এবং মালদ্বীপ প্রগ্রেসিভ পার্টির (পিপিএম) সদস্যরা এর প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষোভ শুরু করে এবং পার্লামেন্টের অধিবেশন চলতে বাধা দেয়। এসময় কান্দিথিমুর এমপি আবদুল্লাহ শাহীম আবদুল হাকিম ঘুষি মেরে কেন্দিকুলহুধুর এমপি আহমেদ ইসা মাটিতে ফেলে দেন। এরপর এই দুই এমপিকে হাতাহাতি করতে দেখা যায়। হাতাহাতির একপর্যায়ে দুই সংসদ সদস্যই চেম্বারের কাছে পড়ে গেলে আবদুল হাকিম মাথায় আঘাত পান। চিকিৎসার জন্য তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

রোববারই সংবাদ সম্মেলনে করে এমডিপি বলেছে, আবদুল্লাহ শাহীম আবদুল হাকিম আত্মরক্ষার্থেই হাতাহাতিতে জড়িয়েছিলেন। এমডিপির সংসদ সদস্য হিসান হুসাইন বলেন, সরকার সমর্থিত এমপিরা যা করেছেন তাতে এমডিপি এমপিদের কাছে আত্মরক্ষা ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না।

আরেক সংসদ সদস্য হাসান জারির এমডিপির একজন সদস্যের হামলায় আঙুলে আঘাত পেয়েছেন। সংঘর্ষের সময় যাতে সংসদ সদস্যরা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে না পারেন সে জন্য পার্লামেন্টে বসানো মাইক্রোফোনগুলো খুলে নেওয়া হয়।

ক্ষমতাসীন পিপিএম এবং পিএনসি জোট এক বিবৃতিতে বলেছে যে, মোহাম্মদ মুইজ্জুর মন্ত্রিসভার অনুমোদন অস্বীকার করাকে সরকার নাগরিকদের যে পরিষেবাগুলো দেয় তাতে বাধা দেওয়ার সমান বলে বিবেচিত হবে।

বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে, মন্ত্রীদের কাজ করার সুযোগ না দিয়ে এবং তাদের কর্মক্ষমতা বিচার না করে সংসদীয় অনুমোদন অস্বীকার করা সরকার পরিচালনায় সহযোগিতার অভাবকে প্রকাশ করছে। সে সঙ্গে, নাগরিকদের যে পরিষেবাগুলো প্রদান করা হয় তার ওপর এমন আচরণ সরাসরি বাধা।’

মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার জন্য এ পর্যন্ত ১৮ জন সদস্য সংসদীয় অনুমোদন লাভ করতে পেরেছেন। তবে অ্যাটর্নি জেনারেল আহমেদ উশাম, আবাসন মন্ত্রী আলী হায়দার, ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ শাহীম আলী সাইদ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বাণিজ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ সাঈদ সংসদের অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিলেন।

সংঘর্ষের পর ক্ষমতাসীন জোটের সদস্য ও সমর্থকেরা সংসদের বাইরে মন্ত্রীদের অনুমোদনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। স্পিকার মোহাম্মদ আসলাম ও ডেপুটি স্পিকার আহমেদ সেলিমের বিরুদ্ধেও অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে জোট।