বরিশাল ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের, ছি ছি হাসিনা লজ্জায় পালাইছে রাজাপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গন সমাবেশ রাজাপুরে ৩ কেজি গাঁজাসহ যুবক আটক বরিশালে ওয়ান ব্যাংকের কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে নোটিশ দিনমজুর থেকে কোটিপতি সুমন মেম্বার গৌরনদীর শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ মডেল সঃ প্রাঃ বিদ্যালয় শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক শফিকুল, সহকারি অনন্যা কাঠালিয়ায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গন সমাবেশ ভান্ডারিয়া জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক গর্ভবতী নারীসহ তিন জনকে পিটিয়ে জখম ভান্ডারিয়ায় দাপুটে যুবলীগ নেতা ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ আয় ও জুলুমের অভিযোগ কালকিনিতে আশির্ধ বয়সী বৃদ্ধ কে পিটিয়ে আহত

বিভিন্ন প্রজাতির মৎস্য নিধন ও মহাউৎসবে উজার হচ্ছে সরকারি বন জঙ্গল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:২৮:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৭২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক— কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র সংলগ্ন পায়রা সমুদ্র বন্দরের ও দূরবর্তী উপকূলীয় এলাকায় অবরোধের পর থেকেই মৎস্য নিধনের মহা উৎসবে মেতে উঠেছে স্থানীয় ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীরা। চিংড়ি ভুলা ধরার নামে সহস্র প্রজাতির মাছের বংশ নির্মূল ও ধ্বংস করে চলছে। প্রতিটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে   সরঞ্জাম হচ্ছে অবৈধ পাই জাল ও বেহন্দি জাল, সুন্দরী গাছ,   কুয়াকাটা সবুজ বেষ্টনীর একাধিক সরকারি ঝাউ গাছ, তালতলী থানাধীন সুন্দরবনের বিচ্ছিন্ন অংশ ফাতরার  জঙ্গলের একাধিক সুন্দরী গাছ, জঙ্গলের  গভীর প্রবেশ কালে দেখা যায়, অসংখ্য কাটা গাছের মূল তথ্যসূত্রে জানা যায় বন বিভাগের দায়িত্বে থাকা কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগ সাজোষে প্রতিনিয়ত উযার হচ্ছে সরকারি বন জঙ্গল। স্থানীয় প্রভাবশালী সুবিধাভোগী একটি মহল এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে।

২০০৭ইংসনে প্রলয়ংকরী  ঘূর্ণিঝড় সিডর তাণ্ডব থেকে এই বন জঙ্গল লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচিয়ে ছিল। দিনের পর দিন সেই বন জঙ্গল হারিয়ে যাচ্ছে। বনজ – সম্পদ এবং মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে সরকারের জোরালো পদক্ষেপ থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নাকের ডগার উপর দিয়ে এসব অবৈধ কার্যক্রম প্রতিনিয়ত চলছে।

এ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীগণ বিট কর্মকর্তা হায়দার কে মুঠো ফোনে ফোন দিলে, তিনি বলেন, গত দেড় মাস আগে আমি এখানে এসেছি প্রতিনিয়ত টহল টিম পরিচালনা করছি এবং আমি সবসময় প্রস্তুত রয়েছি  কোন বন জঙ্গল উজার করলে আমি যেকোনো সময় আইনি ব্যবস্থা নিব।

উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা মোঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি ফোনটা রিসিভ করেননি।

বিসিজি স্টেশন নিজামপুর কোস্টগার্ড স্টেশনে ফোন দিলে, কনটিজেন কমান্ডার বলেন,গত বৃহস্পতিবার আমরা পাঁচটা বেহন্দি জাল পুড়েছি,গত বুধবার পাই জাল২৫ হাজার মিটার জাল ধ্বংস করেছি  ,আমাদের অপারেশন অভ্যত রয়েছে

এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতের অশুভ পরিণতি ভোগ করবে সমগ্র উপকূলের মানুষ। এই অবৈধ কার্যক্রমের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা দেশের শত্রু জাতির শত্রু,তাই সময় থাকতেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষদের সুদৃষ্টি একান্ত প্রয়োজন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিভিন্ন প্রজাতির মৎস্য নিধন ও মহাউৎসবে উজার হচ্ছে সরকারি বন জঙ্গল

আপডেট সময় : ০৩:২৮:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক— কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র সংলগ্ন পায়রা সমুদ্র বন্দরের ও দূরবর্তী উপকূলীয় এলাকায় অবরোধের পর থেকেই মৎস্য নিধনের মহা উৎসবে মেতে উঠেছে স্থানীয় ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীরা। চিংড়ি ভুলা ধরার নামে সহস্র প্রজাতির মাছের বংশ নির্মূল ও ধ্বংস করে চলছে। প্রতিটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে   সরঞ্জাম হচ্ছে অবৈধ পাই জাল ও বেহন্দি জাল, সুন্দরী গাছ,   কুয়াকাটা সবুজ বেষ্টনীর একাধিক সরকারি ঝাউ গাছ, তালতলী থানাধীন সুন্দরবনের বিচ্ছিন্ন অংশ ফাতরার  জঙ্গলের একাধিক সুন্দরী গাছ, জঙ্গলের  গভীর প্রবেশ কালে দেখা যায়, অসংখ্য কাটা গাছের মূল তথ্যসূত্রে জানা যায় বন বিভাগের দায়িত্বে থাকা কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগ সাজোষে প্রতিনিয়ত উযার হচ্ছে সরকারি বন জঙ্গল। স্থানীয় প্রভাবশালী সুবিধাভোগী একটি মহল এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে।

২০০৭ইংসনে প্রলয়ংকরী  ঘূর্ণিঝড় সিডর তাণ্ডব থেকে এই বন জঙ্গল লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচিয়ে ছিল। দিনের পর দিন সেই বন জঙ্গল হারিয়ে যাচ্ছে। বনজ – সম্পদ এবং মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে সরকারের জোরালো পদক্ষেপ থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নাকের ডগার উপর দিয়ে এসব অবৈধ কার্যক্রম প্রতিনিয়ত চলছে।

এ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীগণ বিট কর্মকর্তা হায়দার কে মুঠো ফোনে ফোন দিলে, তিনি বলেন, গত দেড় মাস আগে আমি এখানে এসেছি প্রতিনিয়ত টহল টিম পরিচালনা করছি এবং আমি সবসময় প্রস্তুত রয়েছি  কোন বন জঙ্গল উজার করলে আমি যেকোনো সময় আইনি ব্যবস্থা নিব।

উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা মোঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি ফোনটা রিসিভ করেননি।

বিসিজি স্টেশন নিজামপুর কোস্টগার্ড স্টেশনে ফোন দিলে, কনটিজেন কমান্ডার বলেন,গত বৃহস্পতিবার আমরা পাঁচটা বেহন্দি জাল পুড়েছি,গত বুধবার পাই জাল২৫ হাজার মিটার জাল ধ্বংস করেছি  ,আমাদের অপারেশন অভ্যত রয়েছে

এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতের অশুভ পরিণতি ভোগ করবে সমগ্র উপকূলের মানুষ। এই অবৈধ কার্যক্রমের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা দেশের শত্রু জাতির শত্রু,তাই সময় থাকতেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষদের সুদৃষ্টি একান্ত প্রয়োজন