বরিশাল ১০:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গৌরনদীতে ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলা ও বাইকে অগ্নিসংযোগ, ২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ২ বরিশালে পুলিশ বক্সে হামলা অজ্ঞাত ৩০০ জনের নামে মামলা মাদারীপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলকারীদের সঙ্গে পুলিশ-ছাত্রলীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১ আক্রমণ না করার শর্তে ববি ক্যাম্পাস ছেড়েছে পুলিশ-বিজিবি উজিরপুরে কোটা বিরোধী আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ভোলায় কোটা আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা বাবা মুক্তিযোদ্ধা না তবু ও কোটায় চাকরি তিন ছেলের যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান’র মৃত্যুবার্ষিকীতে গৌরনদীতে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত ভোলায় হাসপাতালে লাশ রেখে পালালেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন, স্বজনদের দাবি হত্যা নলছিটিতে চাচাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় ভাতিজা গ্রেপ্তার

অভাবের সাথে যুদ্ধ করে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও দু.চিন্তায় মেধাবী সাব্বির ও তার বাবা-মা

মোঃ জুনায়েদ খান সিয়াম
  • আপডেট সময় : ০৪:২১:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ২৬ বার পড়া হয়েছে

উজিরপুর প্রতিনিধিঃ দারিদ্রতা দমিয়ে রাখতে পারেনি বরিশালের উজিরপুরের রমজান খান সাব্বিরকে। ছোটবেলা থেকে অভাবের সাথে যুদ্ধ করে মেধা দিয়ে জয় করেছে মেডিকেলে ভর্তি। কৃষক বাবার ছেলে সাব্বির মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরনে এখন বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে অর্থ। ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় ২০ হাজার টাকা সংগ্রহ করতে হিমশিম খাচ্ছে তার বাবা।

উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের পাশের দামোদরকাঠি গ্রামের কৃষক ফিরোজ খানের ছেলে।
সাব্বির জানান, ভর্তি পরীক্ষায় ৬৭.৭৫ নম্বর পেয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েছেন। বোনের উপহার পাওয়া ডিজিটাল শুমারী ট্যাব দিয়ে অনলাইনে পড়াশুনা করে একবারেই সুযোগ পেয়েছে মেডিকেলে।
সাব্বির বলেন, কোন প্রাইভেট পড়ার মতো সুযোগ ছিলো না। মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার কোন বইও কিনতে পারেননি। অনলাইন ও ইউটিউব থেকে টিউশন নিয়ে অংশ নিয়েছেন ভর্তি পরীক্ষায়।
নবম শ্রেনীতে যখন বিজ্ঞান বিষয় নেন, তখন থেকেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন জানিয়ে সাব্বির বলেন, বাবা সব সময় বলছেন যত কষ্ট হোক স্বপ্ন পুরনে সহায়তা করবেন। বাবার এ আশ্বাসে নিজের লক্ষ্য ঠিক করেন চিকিৎসক হবে। সেই লক্ষ্য পূরনে উজিরপুরের এইচএম ইনষ্টিউট থেকে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। পরে ভর্তি হয় সরকারী গৌরনদী কলেজে। এইচএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ ৫ পেয়েছেন।
সাব্বিরের বাবা ফিরোজ খান জানান, আল্লাহর রহমতে সাব্বির পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। কীভাবে ছেলেকে ভর্তি করবো আর পড়ালেখার খরচ বহন নিয়েও চিন্তায় রয়েছি। ঋন করে ভর্তি করানোর চেষ্টা করার কথা জানান তিনি।
সাব্বিরের মা সাহিদা বেগম জানান, স্বামী কৃষি কাজ করে। যখন টাকা থাকে তখন গামছা বিক্রির ব্যবসা করেন। এ দিয়ে চলতে কষ্ট হয়। ছেলেকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে মেডিকেলে ভর্তি করা নিয়ে চিন্তায় আছি। সকলের কাছে দোয়াও চেয়েছেন সাব্বিরের মা বাবা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অভাবের সাথে যুদ্ধ করে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও দু.চিন্তায় মেধাবী সাব্বির ও তার বাবা-মা

আপডেট সময় : ০৪:২১:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

উজিরপুর প্রতিনিধিঃ দারিদ্রতা দমিয়ে রাখতে পারেনি বরিশালের উজিরপুরের রমজান খান সাব্বিরকে। ছোটবেলা থেকে অভাবের সাথে যুদ্ধ করে মেধা দিয়ে জয় করেছে মেডিকেলে ভর্তি। কৃষক বাবার ছেলে সাব্বির মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরনে এখন বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে অর্থ। ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় ২০ হাজার টাকা সংগ্রহ করতে হিমশিম খাচ্ছে তার বাবা।

উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের পাশের দামোদরকাঠি গ্রামের কৃষক ফিরোজ খানের ছেলে।
সাব্বির জানান, ভর্তি পরীক্ষায় ৬৭.৭৫ নম্বর পেয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েছেন। বোনের উপহার পাওয়া ডিজিটাল শুমারী ট্যাব দিয়ে অনলাইনে পড়াশুনা করে একবারেই সুযোগ পেয়েছে মেডিকেলে।
সাব্বির বলেন, কোন প্রাইভেট পড়ার মতো সুযোগ ছিলো না। মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার কোন বইও কিনতে পারেননি। অনলাইন ও ইউটিউব থেকে টিউশন নিয়ে অংশ নিয়েছেন ভর্তি পরীক্ষায়।
নবম শ্রেনীতে যখন বিজ্ঞান বিষয় নেন, তখন থেকেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন জানিয়ে সাব্বির বলেন, বাবা সব সময় বলছেন যত কষ্ট হোক স্বপ্ন পুরনে সহায়তা করবেন। বাবার এ আশ্বাসে নিজের লক্ষ্য ঠিক করেন চিকিৎসক হবে। সেই লক্ষ্য পূরনে উজিরপুরের এইচএম ইনষ্টিউট থেকে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। পরে ভর্তি হয় সরকারী গৌরনদী কলেজে। এইচএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ ৫ পেয়েছেন।
সাব্বিরের বাবা ফিরোজ খান জানান, আল্লাহর রহমতে সাব্বির পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। কীভাবে ছেলেকে ভর্তি করবো আর পড়ালেখার খরচ বহন নিয়েও চিন্তায় রয়েছি। ঋন করে ভর্তি করানোর চেষ্টা করার কথা জানান তিনি।
সাব্বিরের মা সাহিদা বেগম জানান, স্বামী কৃষি কাজ করে। যখন টাকা থাকে তখন গামছা বিক্রির ব্যবসা করেন। এ দিয়ে চলতে কষ্ট হয়। ছেলেকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে মেডিকেলে ভর্তি করা নিয়ে চিন্তায় আছি। সকলের কাছে দোয়াও চেয়েছেন সাব্বিরের মা বাবা।