বরিশাল ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উজিরপুরে সেনাবাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৬ রাজাপুরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ডিম মাংসের পর নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে পাঙাসও উজিরপুরে জেলেদের মাঝে চাল বিতরন শুরু মঠবাড়িয়ায় হার পাওয়ার প্রকল্পের ফ্রীল্যান্সিং ২৫ প্রশিক্ষনার্থী পেল ল্যাপটপ উজিরপুরে সুদের টাকার বিনিময়ে জমি লিখে নিয়ে বৃদ্ধাকে ঘড় থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ রাজাপুর অফিসার্স কল্যান ক্লাবের পক্ষ থেকে ওসি আতাউরকে বিদায়ী সংবর্ধণা ঝালকাঠিতে আদালতের নথিপত্র জালিয়াতির দায়ে আক্কাস সিকদারকে শোকজ টি–টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা মাহমুদউল্লাহর উজিরপুরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৩ টি ল্যাপটপ চুরি

অভাবের সাথে যুদ্ধ করে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও দু.চিন্তায় মেধাবী সাব্বির ও তার বাবা-মা

মোঃ জুনায়েদ খান সিয়াম
  • আপডেট সময় : ০৪:২১:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৪৩ বার পড়া হয়েছে

উজিরপুর প্রতিনিধিঃ দারিদ্রতা দমিয়ে রাখতে পারেনি বরিশালের উজিরপুরের রমজান খান সাব্বিরকে। ছোটবেলা থেকে অভাবের সাথে যুদ্ধ করে মেধা দিয়ে জয় করেছে মেডিকেলে ভর্তি। কৃষক বাবার ছেলে সাব্বির মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরনে এখন বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে অর্থ। ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় ২০ হাজার টাকা সংগ্রহ করতে হিমশিম খাচ্ছে তার বাবা।

উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের পাশের দামোদরকাঠি গ্রামের কৃষক ফিরোজ খানের ছেলে।
সাব্বির জানান, ভর্তি পরীক্ষায় ৬৭.৭৫ নম্বর পেয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েছেন। বোনের উপহার পাওয়া ডিজিটাল শুমারী ট্যাব দিয়ে অনলাইনে পড়াশুনা করে একবারেই সুযোগ পেয়েছে মেডিকেলে।
সাব্বির বলেন, কোন প্রাইভেট পড়ার মতো সুযোগ ছিলো না। মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার কোন বইও কিনতে পারেননি। অনলাইন ও ইউটিউব থেকে টিউশন নিয়ে অংশ নিয়েছেন ভর্তি পরীক্ষায়।
নবম শ্রেনীতে যখন বিজ্ঞান বিষয় নেন, তখন থেকেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন জানিয়ে সাব্বির বলেন, বাবা সব সময় বলছেন যত কষ্ট হোক স্বপ্ন পুরনে সহায়তা করবেন। বাবার এ আশ্বাসে নিজের লক্ষ্য ঠিক করেন চিকিৎসক হবে। সেই লক্ষ্য পূরনে উজিরপুরের এইচএম ইনষ্টিউট থেকে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। পরে ভর্তি হয় সরকারী গৌরনদী কলেজে। এইচএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ ৫ পেয়েছেন।
সাব্বিরের বাবা ফিরোজ খান জানান, আল্লাহর রহমতে সাব্বির পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। কীভাবে ছেলেকে ভর্তি করবো আর পড়ালেখার খরচ বহন নিয়েও চিন্তায় রয়েছি। ঋন করে ভর্তি করানোর চেষ্টা করার কথা জানান তিনি।
সাব্বিরের মা সাহিদা বেগম জানান, স্বামী কৃষি কাজ করে। যখন টাকা থাকে তখন গামছা বিক্রির ব্যবসা করেন। এ দিয়ে চলতে কষ্ট হয়। ছেলেকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে মেডিকেলে ভর্তি করা নিয়ে চিন্তায় আছি। সকলের কাছে দোয়াও চেয়েছেন সাব্বিরের মা বাবা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অভাবের সাথে যুদ্ধ করে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও দু.চিন্তায় মেধাবী সাব্বির ও তার বাবা-মা

আপডেট সময় : ০৪:২১:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

উজিরপুর প্রতিনিধিঃ দারিদ্রতা দমিয়ে রাখতে পারেনি বরিশালের উজিরপুরের রমজান খান সাব্বিরকে। ছোটবেলা থেকে অভাবের সাথে যুদ্ধ করে মেধা দিয়ে জয় করেছে মেডিকেলে ভর্তি। কৃষক বাবার ছেলে সাব্বির মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরনে এখন বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে অর্থ। ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় ২০ হাজার টাকা সংগ্রহ করতে হিমশিম খাচ্ছে তার বাবা।

উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের পাশের দামোদরকাঠি গ্রামের কৃষক ফিরোজ খানের ছেলে।
সাব্বির জানান, ভর্তি পরীক্ষায় ৬৭.৭৫ নম্বর পেয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েছেন। বোনের উপহার পাওয়া ডিজিটাল শুমারী ট্যাব দিয়ে অনলাইনে পড়াশুনা করে একবারেই সুযোগ পেয়েছে মেডিকেলে।
সাব্বির বলেন, কোন প্রাইভেট পড়ার মতো সুযোগ ছিলো না। মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার কোন বইও কিনতে পারেননি। অনলাইন ও ইউটিউব থেকে টিউশন নিয়ে অংশ নিয়েছেন ভর্তি পরীক্ষায়।
নবম শ্রেনীতে যখন বিজ্ঞান বিষয় নেন, তখন থেকেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন জানিয়ে সাব্বির বলেন, বাবা সব সময় বলছেন যত কষ্ট হোক স্বপ্ন পুরনে সহায়তা করবেন। বাবার এ আশ্বাসে নিজের লক্ষ্য ঠিক করেন চিকিৎসক হবে। সেই লক্ষ্য পূরনে উজিরপুরের এইচএম ইনষ্টিউট থেকে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। পরে ভর্তি হয় সরকারী গৌরনদী কলেজে। এইচএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ ৫ পেয়েছেন।
সাব্বিরের বাবা ফিরোজ খান জানান, আল্লাহর রহমতে সাব্বির পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। কীভাবে ছেলেকে ভর্তি করবো আর পড়ালেখার খরচ বহন নিয়েও চিন্তায় রয়েছি। ঋন করে ভর্তি করানোর চেষ্টা করার কথা জানান তিনি।
সাব্বিরের মা সাহিদা বেগম জানান, স্বামী কৃষি কাজ করে। যখন টাকা থাকে তখন গামছা বিক্রির ব্যবসা করেন। এ দিয়ে চলতে কষ্ট হয়। ছেলেকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে মেডিকেলে ভর্তি করা নিয়ে চিন্তায় আছি। সকলের কাছে দোয়াও চেয়েছেন সাব্বিরের মা বাবা।