সংবাদ শিরোনাম ::
মাদ্রাসার ৩ পদের নিয়োগে ১৪ লাখ টাকার ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ, নিয়োগ বাতিল দাবি
নবীন মাহমুদ
- আপডেট সময় : ০৭:৩৪:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪ ১০১ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ঝালকাঠির রাজাপুরের কানুদাশকাঠী মাওলানা আঃ রব কামিল মাদ্রাসার ৩টি পদের নিয়োগে ৩ জনের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকার ঘুষ নিয়ে নিয়োগ দেয়ার প্রস্তুতি চুড়ান্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার দুপুরে নিয়োগ প্রত্যাশী ৫ প্রার্থী রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেছেন। তাদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে কানুদাশকাঠি গ্রামের শহিদুল ইসলাম ফরাজির ছেলে ওই মাদ্রাসার গবেষণাগার পদে নিয়োগ প্রত্যাশী মোঃ সজিবুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, কানুদাশকাঠী মাওলানা আঃ রব কামিল মাদ্রাসার গবেষণাগার, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। আবেদনের পর গত ২ মার্চ শনিবার সকালে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। পরবর্তীতে জানতে পারি গবেষণাগার পদে ৭ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে গালুয়া দুর্গাপুর গ্রামের সজীব নামে এক জনকে নিয়োগের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এছাড়া পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে ৪ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে কাঠালিয়ার মিরাজ মুন্সি ও নিরাপত্তা কর্মী পদে ৩ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে কানুদাশকাঠির সোলায়মান বায়জীদ নামে একজনের নিয়োগের প্রস্তুতি নিয়েছে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। কানুদাশকাঠি গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে পরিচ্ছন্নতাকমী পদে চাকুরি প্রত্যাশী ইমরান হোসেনের অভিযোগ, তার কাছে আড়াই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করা হয়। ইমরান দুই লাখ টাকা পর্যন্ত জোগার করলেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে কাঠালিয়ার মিরাজ মুন্সিকে নিয়োগের প্রস্তুতি নিয়েছে। এছাড়া মাদ্রাসায় নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে ইমরানের দোকান থেকে ৩ বছর ধরে ২০ হাজারেরও বেশি টাকার চা-নাস্তা খেয়েছে। ঘুষের বিনিময়ে অযোগ্যদের নিয়োগের এ প্রক্রিয়া বাতিল করে সচ্ছতার মাধ্যমে পুনরায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে গবেষণাগার পদের প্রার্থী সজীব, পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদের প্রার্থী ইমরান ও বশিরুল ইসলাম ও নিরাপত্তাকর্মী পদের প্রার্থী বাদশা এবং শাহিন উপস্থিত ছিলেন। জানতে চাইলে মুঠোফোনে কানুদাশকাঠী মাওলানা আঃ রব কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। কানুদাশকাঠি মাদ্রাসার এমন কোন রিপোর্ট নাই, যে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেয়া হয়। বরং কালকে যে নিয়োগ হইছে, সেই নিয়োগ খরচও সভাপতি নিজের পকেট থেকে খরচ করেছেন। কোন প্রার্থীর কাছ থেকে নিয়োগ খরচা পর্যন্ত নেয়া হয়নি। কেহ ঘুষ নিয়ে থাকলে সেটা বের করার দাবি জানান তিনি। মুঠোফোনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা আলম জানান, নিয়োগের বিষয়টি তার জানা নেই। কেহ অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।