ভান্ডারিয়া ৭০ হাজার পরিবারের বাড়িতে যাচ্ছে ইফতার সামগ্রী কাজ করছে ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক
- আপডেট সময় : ০৩:৫৬:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪ ১২০ বার পড়া হয়েছে
ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি— পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় পবিত্র মাহে রমজানে রোজদার ঘরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ইফতার সামগ্রী । ভাণ্ডারিয়া পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নের ৬৩টি ওয়াডের্র ৭০ হাজার পরিবারে এ ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ভাণ্ডারিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মিরাজুল ইসলাম প্রতিষ্ঠিত মিরাজুল ইসলাম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ ইফতার সামগ্রী বিতরণের ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে একদল স্বেচ্ছাসেবক ৭০ হাজার পরিবারের জন্য ইফতার সামগ্রী প্যাকেটজাত করছেন। আজ বুধবার রমজানের দ্বিতীয় এ প্যাকেটজাত ইফতার সামগ্রী রোজদারদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া কাজ শুরু করা হয়েছে।
এতে প্রতিটি পরিবারের ছোলাবুট, চিড়া, মুড়ি, দুধ, সেমাই, তেল ও মসলা সহ ১৩ ধরণের খাদ্য সামগ্রী প্যাকেটজাত করে পরিবারগুলোর বাড়ির পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
শুধু মুসলমান নয় উপজেলার অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মাঝেও এ ইফতার সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। এ থেকে বাদ পড়ছে না দিনমজুর থেকে শুরু করে স্থানীয় সংসদ সদস্য পর্যন্ত কেউই।
জানাগেছে, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা থেকে হোল্ডিং নম্বর সংগ্রহ করে প্রতিটি পরিবার চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া একটি হোল্ডিং নম্বরে একাধিক পরিবার থাকলে তাদেরকেও দেওয়া হচ্ছে ইফতার সামগ্রী। এর আগেও করোনাকালীন সময়েও এমন উদ্যোগ নিয়ে ছিলেন মিরাজুল ইসলাম ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন নানা মানবিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। আর এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে স্থানীয় উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সহ আওয়ামীলীগ ও ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ প্রায় ১০ হাজার কর্মী কাজ করছে। অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা সার্বিক সহযোগীতা করছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের এ উদ্যোগে খুশি স্থানীয় জনসাধারণ।
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে এলাকার দুর্যোগ ও আর্ত মানবাতার সেবা কাজ করে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে মিরাজুল ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের পরিচালক এহসাম হাওলাদার জানান, আর্থ মানবতা সেবায় এ ফাউন্ডেশনটি মানুষের বিপদ ও আপদে বন্ধু হিসেবে কাজ করে যাচেছ । যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে সংগঠনটি। ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক এ সংগঠনের সাথে যুক্ত। এবার এ স্বেচ্ছাসেবকরা টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে উপজেলার ৭০ হাজার পরিবারে ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে।