বরিশাল ১০:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলি নৃশংসতার কবলে গাজার নবজাতকরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪ ৩১০ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক— অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি নৃশংসতার প্রভাব পড়েছে প্রসূতি মা ও নবজাতক শিশুর ওপর। জাতিসংঘ বলেছে, ‘চিকিৎসকরা গাজা উপত্যকায় আর স্বাভাবিক আকারের শিশু দেখতে পাচ্ছেন না।’ এমন অবস্থায় ফিলিস্তিনি মা ও শিশুর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপরেই বছরের পর বছর ধরে গাজায় চলা সামরিক পদক্ষেপ জোরালো করে ইসরায়েণি বাহিনী। এতে প্রাণ হারিয়েছে ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৭২ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে। গাজা পরিদর্শনের পর এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের প্রধান ‘ডমিনিক অ্যালেন’ বলেন, গাজার অমানবিক পরিস্থিতি ফিলিস্তিনি মায়েদের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে এবং তারা ছোট আকারের ও অসুস্থ শিশুর জন্ম দিচ্ছেন। ধ্বংসপ্রাপ্ত গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন ক্ষুধা ও পানিশূন্যতায় আক্রান্ত ১৮০ জন নারী সন্তান প্রসব করছেন— উল্লেখ করে তিনি বলেন, মায়েরা অপুষ্টিতে আক্রান্ত এবং সুবিধা বঞ্চিত থাকার কারণে উল্লেখযোগ্য শিশু মৃত অবস্থায় পৃথিবীতে আসে অথবা জন্মগ্রহণের পরপরই মারা যায়। নবজাতকদের সবাই অপুষ্টিতে ভুগছে। ফলে তাদের ওজন ও আকার সুস্থ ও স্বাভাবিক শিশুর তুলনায় কম। ইউএনএফপিএ’র সহায়তার বিশেষ চালান গাজায় পৌঁছে দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে ইসরায়েলের নিন্দা করে জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলে, ‘আমি গাজায় যা দেখেছি তা মানবিক সংকটের চেয়েও বড় দুঃস্বপ্ন, এটি মানবতার সংকট।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইসরায়েলি নৃশংসতার কবলে গাজার নবজাতকরা

আপডেট সময় : ০৫:০১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক— অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি নৃশংসতার প্রভাব পড়েছে প্রসূতি মা ও নবজাতক শিশুর ওপর। জাতিসংঘ বলেছে, ‘চিকিৎসকরা গাজা উপত্যকায় আর স্বাভাবিক আকারের শিশু দেখতে পাচ্ছেন না।’ এমন অবস্থায় ফিলিস্তিনি মা ও শিশুর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপরেই বছরের পর বছর ধরে গাজায় চলা সামরিক পদক্ষেপ জোরালো করে ইসরায়েণি বাহিনী। এতে প্রাণ হারিয়েছে ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৭২ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে। গাজা পরিদর্শনের পর এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের প্রধান ‘ডমিনিক অ্যালেন’ বলেন, গাজার অমানবিক পরিস্থিতি ফিলিস্তিনি মায়েদের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে এবং তারা ছোট আকারের ও অসুস্থ শিশুর জন্ম দিচ্ছেন। ধ্বংসপ্রাপ্ত গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন ক্ষুধা ও পানিশূন্যতায় আক্রান্ত ১৮০ জন নারী সন্তান প্রসব করছেন— উল্লেখ করে তিনি বলেন, মায়েরা অপুষ্টিতে আক্রান্ত এবং সুবিধা বঞ্চিত থাকার কারণে উল্লেখযোগ্য শিশু মৃত অবস্থায় পৃথিবীতে আসে অথবা জন্মগ্রহণের পরপরই মারা যায়। নবজাতকদের সবাই অপুষ্টিতে ভুগছে। ফলে তাদের ওজন ও আকার সুস্থ ও স্বাভাবিক শিশুর তুলনায় কম। ইউএনএফপিএ’র সহায়তার বিশেষ চালান গাজায় পৌঁছে দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে ইসরায়েলের নিন্দা করে জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলে, ‘আমি গাজায় যা দেখেছি তা মানবিক সংকটের চেয়েও বড় দুঃস্বপ্ন, এটি মানবতার সংকট।