পটুয়াখালী-ঢাকা রুটে আওলাদ -৭ লঞ্চের স্টাফ কর্তৃক যাত্রী শ্লীলতাহানি
![](https://barishalsomoynews.com/wp-content/themes/Newspaper-pro/assets/images/reporter.jpg)
- আপডেট সময় : ১২:১১:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪ ২৮০ বার পড়া হয়েছে
![](https://barishalsomoynews.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
পটুয়াখালী প্রতিনিধি : রাজধানী ঢাকার সাথে নৌপথে পটুয়াখালীতে যাতায়তের অন্যতম মাধ্যম লঞ্চ যোগাযোগ। লঞ্চ যাতায়াতের আরামদায়ক মাধ্যম হলেও নিরাপত্তার ঘাটতি দেখাযায় প্রায়ই। রাত্রিকালীন যাতায়াতে নানান রকমের অপ্রীতিকর ঘটনায় বিব্রত ও নিরাপত্তা হীনতায় লঞ্চ যাত্রীরা।ঢাকা – পটুয়াখালী রুটের প্রিন্স আওলাদ -৭ লঞ্চে এমনই এক ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
সোমবার ১৮ মার্চ ঢাকা থেকে পটুয়াখালী উদ্দেশ্যে ছেড়ে আশা প্রিন্স আওলাদ – ৭ লঞ্চের, সুমি (২৩) এক যাত্রী জানান আমাকে লঞ্চের এক স্টাফ আনুমানিক রাত ১২ টার দিকে জোড় করে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে।তিনি বলেন আমি রাতে কেবিনের দরজা আটকিয়ে লাইট নিভিয়ে ঘুমাতে যাই।হঠাৎ এক লোক এসে আমাকে জড়িয়ে চেপে ধরে। আমি চিৎকার করতেই সে দৌড়ে যায়।পরে আমি আসে পাশে কাউকে না পেয়ে লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে থাকা এক লোককে বিষয়টি বলি।ওনি আমাকে লঞ্চের এক জনের সাথে কথা বলায়।ভুক্তভোগী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন রুম অন্ধকার ছিল,আমি ঘুমে ছিলাম কিভাবে দরজা খুলছে তা আমি বলতে পারবো না।
ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে সরেজমিনে জানা যায় সুমি (২৩) এর বক্তব্য অনুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মো: খায়রুল ইসলাম। পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের ১ নং কাকরা বুনিয়া গ্রামের নুরু ইসলাম গাজীর ছেলে।এঘটনার পরপরই তিনি আত্মগোপন চলে যায়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক লঞ্চ স্টাফ জানান বিগত দিনেও মো: খায়রুল ইসলাম লঞ্চের মধ্যে এরকম আরো অনেক অপরাধ করে করে আসছে। এবিষয়ে প্রিন্স আওলাদ -৭ লঞ্চের সুপারভাইজার মিলন মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কিছুই জানিনা ,ঘটনা কি হইছে তাও জানিনা, কখন হইছে তাও জানিনা,আমাকে স্টাফরা কেউ কিছু জানায়নি,যাত্রীও কিছু জানায়নি।খালি শুনি খায়রুল,খায়রুল।
উল্লেখ যে, অভিযোগকারীর ঘটনার বিবরনীতে দেয়া লঞ্চেের ইঞ্জিন রুমে থাকা যে লোককে তিনি জানিয়েছিলেন তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি সবাইকে জানিয়েছি।আপনার কাছে বলে আমি আবার সাক্ষী হতে পারবো না।তার নাম জানতে চাইলে তিনি তা জানাতেও অপারগতা প্রকাশ করেন।
এবিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: জসিম উদ্দিন বলেন এরকম একটি ঘটনা শুনে ফোর্স পাঠিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।