বরিশাল ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গৌরনদীতে ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলা ও বাইকে অগ্নিসংযোগ, ২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ২ বরিশালে পুলিশ বক্সে হামলা অজ্ঞাত ৩০০ জনের নামে মামলা মাদারীপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলকারীদের সঙ্গে পুলিশ-ছাত্রলীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১ আক্রমণ না করার শর্তে ববি ক্যাম্পাস ছেড়েছে পুলিশ-বিজিবি উজিরপুরে কোটা বিরোধী আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ভোলায় কোটা আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা বাবা মুক্তিযোদ্ধা না তবু ও কোটায় চাকরি তিন ছেলের যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান’র মৃত্যুবার্ষিকীতে গৌরনদীতে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত ভোলায় হাসপাতালে লাশ রেখে পালালেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন, স্বজনদের দাবি হত্যা নলছিটিতে চাচাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় ভাতিজা গ্রেপ্তার

জমি নিয়ে বিরোধ, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৬:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪ ৪৪ বার পড়া হয়েছে

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ— বরগুনার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফরাজী মোঃ ইউনুস এর বিরুদ্ধে বিরোধপূর্ণ জমির ধান জিম্মা থাকলেও একতরফা ধান দিয়ে দেওয়ার অভিযোগো সংবাদ সম্মেলন করেছেন রাখাইন উপজাতি চিন্তা অং মগ। সোমবার (২৫ মার্চ) তালতলী উপজেলা প্রেসক্লাবে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

তিনি বলেন, তার অভিযোগ জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকার পরও উভয় পক্ষের জমির ধান চেয়ারম্যানের কাছে জিম্ম থাকলেও ওই চেয়ারম্যান কাউকে কিছু না জানিয়ে গোপনে প্রতিপক্ষ মৌলভী ফজলুল হক নাজির গংদের ধান দিয়ে দিয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়েনর আমখোলা এলাকার রাখাইন উপজাতি চক্রাফ্রু মগ নিসন্তান এর মৃত্যুর পরে ওয়ারিশ সুত্রে তার ভাই নলা অং মগ জমির মালিক হয়। নলা অং মগ গং এর কাছ থেকে বায়না সুত্রে ৮ একর জমি প্রায় ২০ বছর আগে ক্রায় করছে একই এলাকার আবদুল আলতাফ মোল্লা গং। এ ঘটনায় ওই জমি নিয়ে মৌলভী ফজলুল হক নাজির গং মামলা করছে আলাদতে। এর পর ওই জমি আদলাত ফজলুল হক গং তাদের পক্ষে রায় দেয়। পরবর্তীে চিন্তা মং মগ ওই রায়ের উপর হাই কোর্টে আপিল করেন। আদালত বিরোধপূর্ণ জমিতে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। এর পরে ফজলুল হকের ভাই আবদুল দাইয়ান নাজির এডিএম কোর্টে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা করেন। কিন্তু কোর্ট রায় দিয়েছে চিন্তা মং মগ এর পক্ষে। ২০১২ সালেও নলা অং মগ গং ওই জমি নিষ্পত্তি ও রায় পায়। কিন্তু জোর করে মৌলভী ফজলুল হক নাজির গং চাষাবাদ করে। চিন্তা মং মগ এ ব্যাপারে বাধা দেয়। থানায় অভিযোগ গড়ায়। উভয় পক্ষের জমির ধান চেয়ারম্যান এর কাছে জিম্মা দেওয়া হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান একতরফা চিন্তা অং মগকে না জানিয়ে মৌলভী ফজলুল হক নাজির গং তাকে ধান দিয়ে দেয়।

চিন্তা অং মগ বলেন, বিরোধী জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলে এছাড়াও এই জমি নিয়ে একাধিকবার সালিশিতে বসেছি আমরা। উভয় পক্ষের ঝামেলার কারণে জমির ধান চেয়ারম্যান এর কাছে জিম্মা ছিলো। চেয়ারম্যান কাউকে কোন কিছু না জানিয়ে আমার ধান প্রতিপক্ষকে দিয়ে দেওয়ায় আমি অনেক বড় ক্ষতির মুখে পড়েছি। আমি এ ঘটনায় বিচার চাই।

এ বিষয়ে মৌলভী ফজলুল হক নাজির গং ধান নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, থানা ও চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ধান পেয়েছি আমরা।

সোনাকাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফরাজি মোহাম্মদ ইউনূসের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল ফোনটি রিসিভ করেন নাই। পরবর্তীতে খুঁদে বার্তা দিলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম খান বলেন, চেয়ারম্যানের কাছে ধান জিম্মায় ছিল। তিনি প্রতিপক্ষকে ধান দিয়ে দিলে দিতে পারেন। যখন প্রয়োজন হবে চেয়ারম্যান সেটা হাজির করবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জমি নিয়ে বিরোধ, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৩:৩৬:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ— বরগুনার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফরাজী মোঃ ইউনুস এর বিরুদ্ধে বিরোধপূর্ণ জমির ধান জিম্মা থাকলেও একতরফা ধান দিয়ে দেওয়ার অভিযোগো সংবাদ সম্মেলন করেছেন রাখাইন উপজাতি চিন্তা অং মগ। সোমবার (২৫ মার্চ) তালতলী উপজেলা প্রেসক্লাবে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

তিনি বলেন, তার অভিযোগ জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকার পরও উভয় পক্ষের জমির ধান চেয়ারম্যানের কাছে জিম্ম থাকলেও ওই চেয়ারম্যান কাউকে কিছু না জানিয়ে গোপনে প্রতিপক্ষ মৌলভী ফজলুল হক নাজির গংদের ধান দিয়ে দিয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়েনর আমখোলা এলাকার রাখাইন উপজাতি চক্রাফ্রু মগ নিসন্তান এর মৃত্যুর পরে ওয়ারিশ সুত্রে তার ভাই নলা অং মগ জমির মালিক হয়। নলা অং মগ গং এর কাছ থেকে বায়না সুত্রে ৮ একর জমি প্রায় ২০ বছর আগে ক্রায় করছে একই এলাকার আবদুল আলতাফ মোল্লা গং। এ ঘটনায় ওই জমি নিয়ে মৌলভী ফজলুল হক নাজির গং মামলা করছে আলাদতে। এর পর ওই জমি আদলাত ফজলুল হক গং তাদের পক্ষে রায় দেয়। পরবর্তীে চিন্তা মং মগ ওই রায়ের উপর হাই কোর্টে আপিল করেন। আদালত বিরোধপূর্ণ জমিতে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। এর পরে ফজলুল হকের ভাই আবদুল দাইয়ান নাজির এডিএম কোর্টে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা করেন। কিন্তু কোর্ট রায় দিয়েছে চিন্তা মং মগ এর পক্ষে। ২০১২ সালেও নলা অং মগ গং ওই জমি নিষ্পত্তি ও রায় পায়। কিন্তু জোর করে মৌলভী ফজলুল হক নাজির গং চাষাবাদ করে। চিন্তা মং মগ এ ব্যাপারে বাধা দেয়। থানায় অভিযোগ গড়ায়। উভয় পক্ষের জমির ধান চেয়ারম্যান এর কাছে জিম্মা দেওয়া হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান একতরফা চিন্তা অং মগকে না জানিয়ে মৌলভী ফজলুল হক নাজির গং তাকে ধান দিয়ে দেয়।

চিন্তা অং মগ বলেন, বিরোধী জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলে এছাড়াও এই জমি নিয়ে একাধিকবার সালিশিতে বসেছি আমরা। উভয় পক্ষের ঝামেলার কারণে জমির ধান চেয়ারম্যান এর কাছে জিম্মা ছিলো। চেয়ারম্যান কাউকে কোন কিছু না জানিয়ে আমার ধান প্রতিপক্ষকে দিয়ে দেওয়ায় আমি অনেক বড় ক্ষতির মুখে পড়েছি। আমি এ ঘটনায় বিচার চাই।

এ বিষয়ে মৌলভী ফজলুল হক নাজির গং ধান নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, থানা ও চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ধান পেয়েছি আমরা।

সোনাকাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফরাজি মোহাম্মদ ইউনূসের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল ফোনটি রিসিভ করেন নাই। পরবর্তীতে খুঁদে বার্তা দিলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম খান বলেন, চেয়ারম্যানের কাছে ধান জিম্মায় ছিল। তিনি প্রতিপক্ষকে ধান দিয়ে দিলে দিতে পারেন। যখন প্রয়োজন হবে চেয়ারম্যান সেটা হাজির করবেন।