নৌপথে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে নৌপুলিশ বদ্ধ পরিকর: কফিল উদ্দিন
![](https://barishalsomoynews.com/wp-content/themes/Newspaper-pro/assets/images/reporter.jpg)
- আপডেট সময় : ০৫:২৬:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪ ২৬ বার পড়া হয়েছে
![](https://barishalsomoynews.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল অঞ্চলের নৌপুলিশ সুপার কফিল উদ্দিন বলেছেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের নৌপথে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে নৌ পুলিশ বদ্ধ পরিকর।পবিত্র ঈদে নৌ যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে নৌ পুলিশ বরিশালে সব নৌঘাট, নৌ টার্মিনালগুলোতে দায়িত্ব পালন করবে।নৌপথে নিরাপত্তা বিধানে সব নৌযানগুলোর চলাচলের বিষয়ে নৌ পুলিশের বিশেষ নজরদারি থাকবে। নৌপথে যাত্রা নিরাপদ করতে ঈদের আগে ও পরে মোট ১১ দিন সব ধরনের বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ নৌঘাটগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
রবিবার (৭ এপ্রিল) বরিশাল নৌবন্দর পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় বরিশাল অঞ্চলের নৌপুলিশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির, সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ দীন ই আলম, সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক এবং সদর নৌ থানা পুলিশ অফিসার ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।
বরিশাল নৌপুলিশ প্রধান বলেন, আমি আশা করছি এবারের ঈদে কোনো সমস্যা হবে না। আমরা যে আস্থা অর্জন করেছি, সেটা নষ্ট করতে পারি না। মানুষ যাত্রাপথে নৌপথ বা নৌ যানবাহনকেই বেছে নেন, আমরা সেই ব্যবস্থাটাই করতে চাই। কারণ, সবচেয়ে নিরাপদ ও আরামদায়ক যাত্রা হচ্ছে নৌযাত্রা। তাই ঈদে নৌপথ ব্যবহারকারী ঘরমুখো মানুষের যাত্রা সহজ ও নিরাপদ করতে নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে গত ৬ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সময়ের চেয়ে মানুষের জীবনের মূল্য অনেক বেশি। কোনো নৌযান যেন প্রতিযোগিতামূলকভাবে বেশি যাত্রীবোঝাই করে বেশি স্পিড দিয়ে নৌযান না চালায়। বরিশাল নৌপথে যেকোনো সমস্যায় নৌপুলিশের কন্ট্রোল রুমের নম্বর- ০১৩২০১৬৭২৮৪ অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে নৌপুলিশকে অবগত করলে নৌপুলিশ সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।
এসময় তিনি লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা থেকে বিরত থাকা, ছোট ও ত্রুটিপূর্ণ লঞ্চে যাত্রী পরিবহনে বিরত থাকা, লঞ্চে যাত্রী সংখ্যার আনুপাতিক হারে লাইফ জ্যাকেট, বয়া প্রভৃতির ব্যবস্থা রাখা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নৌযান চালানো, সূর্যাস্তের পর বালুবাহী বাল্কহেড ও স্পীড বোট চলাচল বন্ধ রাখা, ঈদ পূর্ববর্তী ৫ দিন, ঈদ এবং ঈদ পরবর্তী ৫ দিনসহ মোট ১১ দিন বালুবাহী বাল্ক হেড চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা, চাঁদাবাজি, চুরিসহ যেকোনো হয়রানি বন্ধে বিশেষ নজরদারি বৃদ্ধি করা, নৌযান চলাচলের পথে মাছ শিকারের জন্য জাল প্রতিরোধ করা, কাগজপত্র বিহীন কোনো নৌযান না চালানো, ন্যায্যমূল্যে ভাড়া আদায়ে তদারকি, টার্মিনাল ব্যতীত নদীর যেকোনো জায়গায় অন্য কোনো ছোট নৌযান থেকে যাত্রী উঠানো ও নামানো বন্ধ নিশ্চিতকরণ, সব নৌযানে পর্যাপ্ত ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
নৌযান ও নৌপথ সংক্রান্ত সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, সেবা প্রত্যাশী জনগণ ও নৌ পুলিশসহ সবাই একসাথে কাজ করলে দুর্ঘটনামুক্ত ও নিরাপদ ঈদ যাত্রা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।