সংবাদ শিরোনাম ::
বর্ণিল আয়োজনে পটুয়াখালীতে পহেলা বৈশাখ উদযাপন
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময় : ০৮:১৩:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪ ৬৪ বার পড়া হয়েছে
রিপন কুমার দাস, বিশেষ প্রতিনিধিঃ আবহমান কাল থেকে বাঙালি জাতি নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, রীতি-নীতি ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে আসছে। এর সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশের সব ধর্ম, বর্ণ ও গোষ্ঠীর নিবিড় সম্পর্ক। পহেলা বৈশাখ সব শ্রেণি, পেশা ও বয়সের মানুষের মাঝে নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটায়। নববর্ষের প্রেরণায় মানুষে মানুষে গড়ে ওঠে সাম্য, সৌহার্দ ও সম্প্রীতি। তাই পহেলা বৈশাখকে ঘিরে বর্নিল আয়োজনে পটুয়াখালী। পটুয়াখালীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আলপনা অংকন মঙ্গল শোভাযাত্রা, পান্তা ভোজ, দেশীয় খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনাসহ বিভিন্ন আয়োজন রয়েছে পহেলা বৈশাখ ঘিরে। অন্যদিকে বৈশাখে নতুন সাজে সাজতে শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সী মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে নগরীর বিপণিবিতান ও ফুটপাতের দোকানে।
১৪ এপ্রিল (রবিবার) ১ বৈশাখ পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল ৮ টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা পিডিএস মাঠ হয়ে ডিসি স্কয়ারে এসে শেষ হয়।মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে সকাল সাড়ে ৮ টায় লোকজ মেলার শুভ উদ্বোধন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ হয় ডিসি স্কয়ারে। ১৪ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল অব্দি প্রতিদিন বিকাল ৪টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত লোকজ মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান (ডিসি স্কয়ার মাঠে) অনুষ্ঠিত হবে। লোকজ মেলার সমাপ্তির দিন অর্থাৎ ২০এপ্রিল বিকাল ৩টায় ১লা বৈশাখ উপলক্ষে পটুয়াখালী ব্রীজ থেকে পটুয়াখালী লঞ্চঘাট পর্যন্ত নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে পটুয়াখালীর ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন দক্ষিনা খেলাঘর আসর পহেলা বৈশাখকে বরন করতে সকাল ৭টায় শিশু কিশোরদের নিয়ে শহীদ আলাউদ্দিন শিশুপার্কে প্রভাতি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।আয়োজন শেষে শহীদ আলাউদ্দিন শিশুপার্ক থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দখিনা খেলাঘর আসরে এসে শেষ করে
জেলা প্রশাসক মোঃ নূর কুতুবুল আলম বলেন বাংলা নববর্ষের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাস। বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ কে আনন্দমুখর পরিবেশে বরণ করে নেয়ার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন,পটুয়াখালী। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটির মতোই সুখে শান্তিতে কাটুক সবার জীবনের প্রতিটি দিন।হাসি আর আনন্দে নতুন বছর হয়ে উঠুক অমলিন, হয়ে উঠুক ভীষণ সুন্দর,বাংলা নববর্ষ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের সকল আয়োজনে সকলের উপস্থিতি কামনা করেন।
পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম, বিপিএম, পিপিএম বলেন, “বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ পহেলা বৈশাখ। এই দিনটিকে ঘিরে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।