বরিশাল ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গৌরনদীতে ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলা ও বাইকে অগ্নিসংযোগ, ২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ২ বরিশালে পুলিশ বক্সে হামলা অজ্ঞাত ৩০০ জনের নামে মামলা মাদারীপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলকারীদের সঙ্গে পুলিশ-ছাত্রলীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১ আক্রমণ না করার শর্তে ববি ক্যাম্পাস ছেড়েছে পুলিশ-বিজিবি উজিরপুরে কোটা বিরোধী আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ভোলায় কোটা আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা বাবা মুক্তিযোদ্ধা না তবু ও কোটায় চাকরি তিন ছেলের যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান’র মৃত্যুবার্ষিকীতে গৌরনদীতে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত ভোলায় হাসপাতালে লাশ রেখে পালালেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন, স্বজনদের দাবি হত্যা নলছিটিতে চাচাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় ভাতিজা গ্রেপ্তার

শরীয়তপুরে আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ‌‘চড়ক পূজা’

বাবুল রায়
  • আপডেট সময় : ১২:২৬:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪ ৩৭ বার পড়া হয়েছে

মাদারীপুর প্রতিনিধি— শরীয়তপুরে আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ‌‘চড়ক পূজা’ খোলা মাঠের মধ্যে পোতা হয়েছে ১৫ ফুট উচ্চতার লম্বা একটি গাছ। আর গাছের মাথায় বসানো কাঠের কাঠামোর সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে লম্বা দুটি বাঁশ। সেই বাঁশের দুই প্রান্তে দড়ি বেঁধে চক্রাকারে ঘুরছে কিছু লোকজন। এটি চৈত্র সংক্রান্তির প্রধান উৎসব চড়ক। শরীয়তপুরে যুগ যুগ ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আবহমান বাংলার ঐতিহ্য হিসেবে এই উৎসবটি উদযাপন করে আসছেন।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার সনাতনধর্মের লোকজন চৈত্র সংক্রান্তির নীলপূজা উপলক্ষে মাসের শেষের তিনদিন নীলসন্যাসী সেজে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘুরে বেড়ান। এ সময় তারা শিব-পার্বতী, দূর্গা, রাধাকৃষ্ণ, বলরামসহ বিভিন্ন দেবদেবী সেজে বাড়ির উঠোনো উঠোনে নিত্যপ্রদর্শন করেন। বাড়ির গৃহবধূরা সংসারের শান্তি ও স্বামী-সন্তানের মঙ্গল কামনায় উপোস থেকে নীলষষ্ঠী উদযাপন করেন

নীল সন্যাসীরা বাড়ির উঠোনে আসলে তাদের পূজা শেষে হাতে তুলে দেওয়া হয় ফলমূল ও চাল ডাল। পরে চৈত্র সংক্রান্তির দিনে সকালে মন্দিরে মন্দিরে শিব-পার্বতীর পূজা শেষে বিকেলে আয়োজন করা হয় চড়ক উৎসবের। এ সময় যুবকদের পাশাপাশি নানা বয়সী শিশু কিশোররা চড়ক উৎসবে মেতে উঠে।

চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে এই চড়ক পূজার আয়োজন করেছেন সদর উপজেলার চর সোনামুখী এলাকার মঙ্গল শিকারী। তিনি বলেন, এটি আমাদের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য। আমরা চৈত্র মাসের শেষের দিনে এই পূজার আয়োজন করি। শিব-গৌরী পূজা শেষে খোলা মাঠের মধ্যে চড়কগাছ ঘোরানো হয়। সবাই খুব আনন্দ উৎসব করি।

কাঁলাচান মণ্ডল নামের আরেক আয়োজক বলেন, আমরা প্রতি বছর এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করি। আমাদের এলাকায় খুব জাঁকজমকপূর্ণভাবে চড়ক পূজা হয়ে থাকে। বিভিন্ন বয়সী লোকজন বিষয়টি উপভোগ করে থাকে।

চড়ক পূজা দেখতে আসা দর্শনার্থী সঞ্জয় মন্ডল বলেন, এই চৈত্র সংক্রান্তির চড়ক পূজা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। আমরা চড়কে উঠে খুব আনন্দ পাই। এটি আমাদের একটি বড় পূজা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শরীয়তপুরে আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ‌‘চড়ক পূজা’

আপডেট সময় : ১২:২৬:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

মাদারীপুর প্রতিনিধি— শরীয়তপুরে আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ‌‘চড়ক পূজা’ খোলা মাঠের মধ্যে পোতা হয়েছে ১৫ ফুট উচ্চতার লম্বা একটি গাছ। আর গাছের মাথায় বসানো কাঠের কাঠামোর সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে লম্বা দুটি বাঁশ। সেই বাঁশের দুই প্রান্তে দড়ি বেঁধে চক্রাকারে ঘুরছে কিছু লোকজন। এটি চৈত্র সংক্রান্তির প্রধান উৎসব চড়ক। শরীয়তপুরে যুগ যুগ ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আবহমান বাংলার ঐতিহ্য হিসেবে এই উৎসবটি উদযাপন করে আসছেন।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার সনাতনধর্মের লোকজন চৈত্র সংক্রান্তির নীলপূজা উপলক্ষে মাসের শেষের তিনদিন নীলসন্যাসী সেজে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘুরে বেড়ান। এ সময় তারা শিব-পার্বতী, দূর্গা, রাধাকৃষ্ণ, বলরামসহ বিভিন্ন দেবদেবী সেজে বাড়ির উঠোনো উঠোনে নিত্যপ্রদর্শন করেন। বাড়ির গৃহবধূরা সংসারের শান্তি ও স্বামী-সন্তানের মঙ্গল কামনায় উপোস থেকে নীলষষ্ঠী উদযাপন করেন

নীল সন্যাসীরা বাড়ির উঠোনে আসলে তাদের পূজা শেষে হাতে তুলে দেওয়া হয় ফলমূল ও চাল ডাল। পরে চৈত্র সংক্রান্তির দিনে সকালে মন্দিরে মন্দিরে শিব-পার্বতীর পূজা শেষে বিকেলে আয়োজন করা হয় চড়ক উৎসবের। এ সময় যুবকদের পাশাপাশি নানা বয়সী শিশু কিশোররা চড়ক উৎসবে মেতে উঠে।

চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে এই চড়ক পূজার আয়োজন করেছেন সদর উপজেলার চর সোনামুখী এলাকার মঙ্গল শিকারী। তিনি বলেন, এটি আমাদের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য। আমরা চৈত্র মাসের শেষের দিনে এই পূজার আয়োজন করি। শিব-গৌরী পূজা শেষে খোলা মাঠের মধ্যে চড়কগাছ ঘোরানো হয়। সবাই খুব আনন্দ উৎসব করি।

কাঁলাচান মণ্ডল নামের আরেক আয়োজক বলেন, আমরা প্রতি বছর এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করি। আমাদের এলাকায় খুব জাঁকজমকপূর্ণভাবে চড়ক পূজা হয়ে থাকে। বিভিন্ন বয়সী লোকজন বিষয়টি উপভোগ করে থাকে।

চড়ক পূজা দেখতে আসা দর্শনার্থী সঞ্জয় মন্ডল বলেন, এই চৈত্র সংক্রান্তির চড়ক পূজা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। আমরা চড়কে উঠে খুব আনন্দ পাই। এটি আমাদের একটি বড় পূজা।