ধর্ষণের পর বৃদ্ধাকে হত্যা করে ঘরের মেঝেতেই পুঁতে রাখা হয় লাশ
- আপডেট সময় : ০৪:৪৭:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪ ৪১ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক ::: মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ পুঁতে রাখা হয় তারই ঘরের মেঝেতে। বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নের মধ্য কাটাদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুরো ঘটনা উদ্ঘাটনের পর বরিশাল জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে রোববার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হয় এসব তথ্য।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়নের মধ্য কাটাদিয়া গ্রামের মৃত জয়নাল গাজীর স্ত্রী রিজিয়া বেগম (৬০) একাই বসবাস করতেন। প্রায় সাত মাস আগে নিখোঁজ হন রিজিয়া বেগম। গত ১৩ এপ্রিল রিজিয়া বেগমের ছেলে রাসেল বাড়িতে এলে ঘরের ভেতরে মাটির স্তূপ দেখতে পান। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে তারা আদালতের নির্দেশে ঘরের ভেতর থেকে রিজিয়া বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান।
এ ঘটনায় বাদী হয়ে ওই দিন মামলা করেন নিহতের ভাই হাওলাদার মাসুদ। মামলার সূত্র ধরে তদন্তে নামে বরিশাল জেলা পুলিশ। প্রযুক্তির ব্যবহার করে এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- একই ইউনিয়নের মধ্য কাটাদিয়া গ্রামের মৃত আইউব আলীর ছেলে মো. ফয়সাল (৩৫) ও তার সহযোগী মৃত কালাম হাওলাদার কালুর ছেলে লালচাঁন (৩২)।
পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ফয়সাল ও লালচাঁন প্রতিনিয়ত ওই বৃদ্ধার ঘরে ও আশপাশে মাদক সেবন করত। সেই ঘটনায় বাধা দেওয়ায় ঘটনার দিন অর্থাৎ প্রায় সাত মাস আগে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণের পর গলায় কাপড় পেঁচিয়ে হত্যা করে ফয়সাল ও লালচাঁন। এরপর বৃদ্ধার ঘরেই মাটি খুঁড়ে তাকে চাপা দেয় তারা। ফয়সাল ও লালচাঁন দুজনেই মাদকসেবী বলে জানিয়েছে পুলিশ সুপার। গ্রেফতারকৃত দুজনকে রোববার আদালতে সোপর্দ করা হয়।