ঝালকাঠিতে পূর্ব শত্রুতার জেরে এক যুবককে দুই দফায় কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা
- আপডেট সময় : ০৭:৪৩:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ ৮৮ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঝালকাঠির ৬ নং ভাসন্ডা ইউনিয়নের চামটা গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত যুবকের নাম আবু বক্কর ((১৮)। তিনি চামটা গ্রামের আব্দুল মন্নান সরকারের ছেলে ও ৬ নং ভাসন্ডা ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। পরে স্থানীয়রা আহতকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিন বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ঝালকাঠির দারখি নামক স্থানে বসে আহত আবু বক্কর এর সাথে ক্রিকেট খেলা নিয়ে পার্শ্ববর্তী আমানুল্লাহ আমানের বিরোধ হয়। এসময় আমান পূর্ব শত্রুতার জেরে তার সহযোগীদের নিয়ে আবু বক্কর এর উপরে হামলা চালায়। এ সময় আমানুল্লাহ আমান, শাহিন শিকদার, ও ইয়াসিন শেখ সহ অজ্ঞতা ২/৩ জন ধারালো দা ও লোহার রড দিয়ে আবু বক্করকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে আহতর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আবু বক্কর তার ওষুধ কেনার জন্য হাসপাতালের সামনে ফার্মেসিতে গেলে দ্বিতীয় দফায় আমানুল্লাহ আমান, শাহিন সিকদার, ও ইয়াসিন শেখ সহ অজ্ঞাত আরো আট দশ জন ভারটের সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশ্যে আবু বক্করকে ধারালো রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।এতে আবু বক্কর এর হাত ও মাথার গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা আহতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে যায়। এবং সেখানে আহতর শারীরিক অবস্থা অবনতি দেখলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ বিষয়ে আহত আবু বক্কর সাংবাদিকদের জানায় প্রতিপক্ষ আমানুল্লাহ আমান সম্পর্কে তার খালাতো ভাই। আবু বক্কর হঠাৎ করে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় আমানুল্লাহ আমান। এছাড়াও তাদের নানা বাড়ির সম্পত্তি নিয়ে পূর্ব শত্রুতা রয়েছে। আমানুল্লাহ আমান ছাত্রদল কর্মী ও আবু বক্কর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।আবু বক্কর দলীয় পদ পদবী হওয়ায় মনে মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় আমানুল্লাহ আমানের । আর এই ক্ষোভের কারণেই বিভিন্ন সময় উস্কানিমূলক কথা বলে এবং মারধরের চেষ্টা করে বলে জানান আবু বক্কর। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিপক্ষরা হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালায়। বর্তমানে আহত আবু বক্কর গুরুতর অবস্থায় শেবাচিমের সার্জারি ওয়ার্ডে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে হামলার পরে আজ বৃহস্পতিবার তৃতীয় দফায় হামলার জন্য শেবাচিমের সার্জারি ওয়ার্ডে ভাড়া করা লোক পাঠায় আমানুল্লাহ আমান। বর্তমানে আহত আবু বক্কর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ বিষয়ে আতহ পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।