বাউফলে পূর্ব শত্রুতার জেরে বাপ ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা
- আপডেট সময় : ১১:৪৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪ ৫৪ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক— বাউফল থানা দিন ৫ নং ওয়ার্ডের খেজুর বাড়িয়া গ্রামে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাপ ও ছেলেকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় ঘটনা ঘটে। এতে আহতরা হলেন খাজুরবাড়িয়া গ্রামের মৃত আঞ্জুর আলী মৃধার ছেলে আওয়াল মৃধা (৫৪) ও আওয়াল মৃধার ছেলে রাসেদ (১৮)।
পরে বাউফল থানা পুলিশের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করে বাউফল থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়। সেখানে গুরুতর আহত আউয়াল মৃধার শাররীক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত আউয়াল মৃধা বর্তমানে শেবাচিমের অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।আহত সূত্রে জানা গেছে,আউয়াল মৃধার আপন ভাই দুলাল মৃধা ও পার্শ্ববর্তী আলতাফ বেকারির সাথে জমি জমা নিয়ে বিরোধ থাকায় ২০২১ সালের আপন ভাগ্নি ভারসাম্যহীন চার সন্তানের জননী ফেরদৌস বেগম মারা যাওয়া মামলায় আউয়াল মৃধার ছেলে রাশেদকে পেচিয়ে দেওয়া হয় ।
আহত সূত্র আরো জানায়,আহত আআউয়াল বোন কোহিনুর বেগমের মেয়ে ফেরদৌস বেগম দীর্ঘদিন যাবৎ মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিল। কিছুদিন পর নিখোঁজ হয়ে যায় ফেরদৌস বেগম পরবর্তীতে দাসপাড়া ভুরভুরিয়া খালে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে বাউফল থানা পুলিশ।
এরপর লাশ দাফনের ২০ থেকে ২৫ দিন পর পূর্ব শত্রু তার জেরে ভাই দুলাল ও আলতাফ বেকারির ষড়যন্ত্রে বোনকে ও ভাগ্নেদের দিয়ে একটি মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়।এতে দীর্ঘদিন আউয়াল মৃধার ছেলে রাশেদ কারা ভোগ করে।
পরবর্তীতে গত মঙ্গলবার স্থানীয়রা ও ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার খবির মেম্বারের কথায় বোন কহিনুর বেগম ও ভাগ্নেদের সাথে মীমাংসার আশ্বাসে তাদের বাড়ির দিকে রওনা দেয়। এ সময় দাসপাড়া বড় চৌমহনী এলাকায় বাবুলের দোকানে চা খাওয়ার সময় ভাগ্নে শাহিন তার বোন কথা বলতে চায় বলে আউয়াল ও তার ছেলে রাসেদ কে ডেকে নেয়।
এ সময় ৭ নং ওয়ার্ড মোহাম্মদ আলী হাওলাদার এর বাড়ির দরজায় প্রবেশ করলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শাহীন, ওলি, রাসেল মৃধা,বোন কোহিনুর, ভাই দুলাল মৃধা, খালেক, মাসুদ সহ অজ্ঞাত আট দশ জন ধারালো রামদা বগিদা,লোহার রড দিয়ে আউয়াল মৃধা ও তার ছেলের রাশেদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে, পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এক পর্যায়ে আহত বাপ ছেলেকে গাছের সাথে বেঁধে হত্যার উদ্দেশ্যে অমানবিক নির্যাতন চালায়।পরে আউয়াল মৃধার পরিবারের সদস্যরা বাউফল থানা থেকে পুলিশ নিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।বর্তমানে আহতরা হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।এ ঘটনায় বাউফল থানা পুলিশ একজনকে আটক করে ও বাকিরা পলাতক রয়েছে ।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা পুলিশ প্রশাসনে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছে। ও সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানায়।