বরিশাল ১১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমতলীতে যৌতুকের টাকা না পেয়ে দুই সন্তানের জননীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০২৪ ৫৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আমতলী পৌরসভার  ৯ নং ওয়ার্ড নয়া ভাঙ্গলী গ্রামে যৌতুকের টাকা না পাওয়ায় এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।আহত গৃগবধুর নাম  নাজমিন (২৫)। তিনি ৯ নং ওয়ার্ডের নয়া ভাঙ্গলি গ্রামের সজীব হাওলাদারের স্ত্রী। পরে স্থানীয়রা আহতকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে আমতলী থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে। সেখানে আহত শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পূরণ করে। বরিশাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি দেখে দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসা করা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করে। গতকাল রবিবার দিন রাত বারোটার দিকে ঘুম থেকে তুলে স্বামী ও শাশুড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করে নাজমিন কে। আহত সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ সাত আট বছর আগে পারিবারিকভাবে তালতলী এলাকার নিজাম মিয়ার মেয়ে নাজমিনের সাথে আমতলী থানাধীন নয়া ভাঙ্গলী গ্রামের বাবুল হাওলাদারের ছেলে সজীব হাওলাদের সাথে বিয়ে হয়।  বিয়ের পরে তাদের দাম্পত্য জীবনে দুটি সন্তান রয়েছে। সজিব হাওলাদার বখাটে ও মাদক সেবী থাকা বিদায় বিভিন্ন সময় গৃহবধূ নাজমুলকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয় ও এ নিয়ে একাধিকবার মারধর করলে গৃহবধূর বাবা নিজাম মিয়া তার মেয়েকে এক বছর আগে তাদের বাড়ি নিয়ে যায়।  এরপর স্থানীয় কাউন্সিলর জি এম মুসা  ও সজীবের চাচা মোস্তফা হাওলাদার গত এক সপ্তাহ আগে জামিনদার হয়ে নাজমিন কে সজিবের ঘরে এনে দেয়। আর বাড়িতে আনার এক সপ্তার মাথায় যৌতুকের এক লক্ষ টাকার জন্য রাতের আধারে ঘুম থেকে তুলে ধরানো অস্ত্র দিয়ে সজীব হাওলাদার ও তার মা তাসলিমা বেগম গৃহবধূ নাজমিনের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। এ সময় আহত্বর ডাক চিৎকার চাচা মোস্তফা হাওলাদার এর স্ত্রী ছুটে আসলে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সজীব ও তার মা তাসলিমা বেগম।পরে মোস্তফা হাওলাদের স্ত্রী ও স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে । বর্তমানে আহত গৃহবধূ নাজমিন কে উন্নত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আমতলী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জি এম মুসা সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি সাংবাদিকদের জানায় বিষয়টা তিনি শুনেছেন। বর্তমানে আহত গৃহবধূর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে। সুস্থ হয়ে আসলে স্থানীয়ভাবে অথবা আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে আহত স্বজনদের পক্ষে সাংবাদিকদের জানায় সজীব হাওলাদার হত্যার উদ্দেশ্যে নাজমিন কে কুপিয়ে জখম করে। এ বিষয়ে তারা পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আমতলীতে যৌতুকের টাকা না পেয়ে দুই সন্তানের জননীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা।

আপডেট সময় : ০৫:৩৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আমতলী পৌরসভার  ৯ নং ওয়ার্ড নয়া ভাঙ্গলী গ্রামে যৌতুকের টাকা না পাওয়ায় এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।আহত গৃগবধুর নাম  নাজমিন (২৫)। তিনি ৯ নং ওয়ার্ডের নয়া ভাঙ্গলি গ্রামের সজীব হাওলাদারের স্ত্রী। পরে স্থানীয়রা আহতকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে আমতলী থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে। সেখানে আহত শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পূরণ করে। বরিশাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি দেখে দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসা করা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করে। গতকাল রবিবার দিন রাত বারোটার দিকে ঘুম থেকে তুলে স্বামী ও শাশুড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করে নাজমিন কে। আহত সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ সাত আট বছর আগে পারিবারিকভাবে তালতলী এলাকার নিজাম মিয়ার মেয়ে নাজমিনের সাথে আমতলী থানাধীন নয়া ভাঙ্গলী গ্রামের বাবুল হাওলাদারের ছেলে সজীব হাওলাদের সাথে বিয়ে হয়।  বিয়ের পরে তাদের দাম্পত্য জীবনে দুটি সন্তান রয়েছে। সজিব হাওলাদার বখাটে ও মাদক সেবী থাকা বিদায় বিভিন্ন সময় গৃহবধূ নাজমুলকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয় ও এ নিয়ে একাধিকবার মারধর করলে গৃহবধূর বাবা নিজাম মিয়া তার মেয়েকে এক বছর আগে তাদের বাড়ি নিয়ে যায়।  এরপর স্থানীয় কাউন্সিলর জি এম মুসা  ও সজীবের চাচা মোস্তফা হাওলাদার গত এক সপ্তাহ আগে জামিনদার হয়ে নাজমিন কে সজিবের ঘরে এনে দেয়। আর বাড়িতে আনার এক সপ্তার মাথায় যৌতুকের এক লক্ষ টাকার জন্য রাতের আধারে ঘুম থেকে তুলে ধরানো অস্ত্র দিয়ে সজীব হাওলাদার ও তার মা তাসলিমা বেগম গৃহবধূ নাজমিনের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। এ সময় আহত্বর ডাক চিৎকার চাচা মোস্তফা হাওলাদার এর স্ত্রী ছুটে আসলে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সজীব ও তার মা তাসলিমা বেগম।পরে মোস্তফা হাওলাদের স্ত্রী ও স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে । বর্তমানে আহত গৃহবধূ নাজমিন কে উন্নত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আমতলী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জি এম মুসা সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি সাংবাদিকদের জানায় বিষয়টা তিনি শুনেছেন। বর্তমানে আহত গৃহবধূর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে। সুস্থ হয়ে আসলে স্থানীয়ভাবে অথবা আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে আহত স্বজনদের পক্ষে সাংবাদিকদের জানায় সজীব হাওলাদার হত্যার উদ্দেশ্যে নাজমিন কে কুপিয়ে জখম করে। এ বিষয়ে তারা পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।