সংবাদ শিরোনাম ::
পটুয়াখালীতে নিষিদ্ধ মশারি জাল দিয়ে চিংড়ি রেনু আহরন : ধ্বংস হচ্ছে মাছের বংশ বিস্তার
![](https://barishalsomoynews.com/wp-content/themes/Newspaper-pro/assets/images/reporter.jpg)
রিপন কুমার দাস
- আপডেট সময় : ০৭:৩৮:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪ ২২ বার পড়া হয়েছে
![](https://barishalsomoynews.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
রিপন কুমার দাস, পটুয়াখালী : রেনু সংগ্রহের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছেনা যেন কেউ।জেলার গলাচিপা উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আবাধে চলছে গলদা-বাগদা চিংড়ির রেণু সংগ্রহ।এই রেণু সংগ্রহ করতে গিয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে প্রায় হাজার প্রজাতির ছোট বড় মাছ ও মাছের ডিম।আর নিরবে দেখছে মৎস্য অধিদপ্তরের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কেনই বা এহেন ধ্বংসযজ্ঞে মৎস্য অধিদপ্তরের নিরবতা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনসাধারণের মাঝে। বৃহস্পতিবার (৯ মে ) বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, নিষিদ্ধ মশারি জাল দিয়ে জেলেরা চিংড়ি রেণু আহরণ করছেন। সেগুলো কিনে নিয়ে স্থানীয় ব্যাপারীরা দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে গলাচিপা উপজেলার উপজেলায় বিভিন্ন চিংড়ি ঘের মালিকদের কাছে। রেণু সংগ্রহের কাজটি অবৈধ হলেও জীবিকার তাগিদে প্রকাশ্যেই চলছে এ কাজ। গলাচিপা সদরের নিকটবর্তী নদী ও আড়ৎ গুলোতে প্রতিনিয়ত প্রকাশ্যে ক্রয় বিক্রয় ও নিধন হচ্ছে রেনু পোনা আর এ বিষয়ে কোন প্রকার কিছু জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা যেনো কিছু বোঝেন না। এ ব্যাপারে গলাচিপা উপজলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জহিরনন্নবী’র কাছে জানতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের দেখে দ্রুতগতিতে রুম থেকে বেড় হয়ে যান এবং যেতে যেতে বলেন জেলা সিনিয়র স্যার কোন প্রকার সাক্ষাৎকার দিতে নিষেধ করেছেন । রেনু পোনা ধরা ও পরিবহন করা আইনগত অপরাধ। সার্বিক বিষয়ে জেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: কামরুল ইসলাম বলেন আসলে জহিরনন্নবী লাজুক ও ভীতু প্রকৃতির তাই কোন কিছু বলেন নি তবে সার্বিক বিষয় খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি প্রতিবেদককে জানান । বছরের মে থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় পোনা ধরার ক্ষেত্রে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও মশারি নেট জাল দিয়ে অবাধে চলছে এ কর্মযজ্ঞ। গলাচিপা উপজেলার নদীর তীরবর্তী গ্রাম যেমন- চর হরীদাপপুর,পানপ্রট্টি,তেতুলীয়া নদীর তীর ও বদানতলী সহ কয়েকটি গ্রামে প্রতিদিনই রেনু চিংড়ি পোনা আহরণ করা হচ্ছে। কয়েক হাজার মানুষ চিংড়ি পোনা আহরণ করে এই সময়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রায় জেলে বা রেনু নিধন কাজে নিয়জিত ব্যাক্তি ও শিশু এবং নারীরা বলেন, মাছুয়া অফিসার ও তার অফিসের লোকদের ম্যানেজ করে তারা এ কাজ করছেন । দেখা যায়, জেলেরা শুধু বাগদা-গলদা চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করে অন্যান্য মাছের রেণু ও জলজ প্রাণী ফেলে দিচ্ছে। স্থানীয় ঘেড় মালিকরা এদের কাছ রেনু পোনা সরবরাহ করছে। স্থানীয় একজন জেলে জানান, চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করার সময় কোরাল, কাঁকড়া, চিরিং, বাইলা, তফসে, বাটা, চাপিলা, ফাসসে, টেংরা, পোয়া,কাঁচকিসহ অনেক প্রজাতির পোনাও ওঠে আসে। তারা শুধু চিংড়ি পোনা রেখে বাকিগুলো ফেলে দেন।তিনি আরও জানান, প্রতিটি চিংড়ির পোনার জন্য তারা ভালো দাম পান। কিন্তু অন্য মাছের পোনা বিক্রি হয় না তাই ফেলে দেই ,না হলে সাইজ একটু বড় হলে কাচকী মাছ হিসেবে বাজারে বিক্রি করে দেই। ছোট ছোট ঘের যারা করে তারা এই পোনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। একটি গলদা বা বাগদা চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করতে গিয়ে অন্য অনেক প্রজাতির মাছের পোনা ধ্বংস হয়ে যায়। এর সাথে ধ্বংস হয় অন্যান্য জলজ জীবের পোনা বা রেণুও।