সংবাদ শিরোনাম ::
ভোট দিতে রাজি না হওয়ায় দুমকিতে জেলে বরাদ্দের গরু ছিনিয়ে নিল চেয়ারম্যান!
বরিশাল সময় নিউজ রিপোর্ট
- আপডেট সময় : ০৩:৫১:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪ ৫৩ বার পড়া হয়েছে
দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটর সাইকেল মার্কার ক্যাম্পেইন ও ভোট দিতে রাজি না হওয়ায় মৎস্য বিভাগের সরকারি জেলে বরাদ্দের গরু কেড়ে নিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ড. হারুণ অর রশীদ হাওলাদার।
গতবুধবার (২২ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা কমপ্লেক্স সংলগ্ন সড়কে মৎস্য অফিসের দেয়া গরুটি কেড়ে নেয়ার ঘটনাটি ঘটেছে। নির্বাচনের পূর্বমুহুর্তে একজন প্রান্তিক জেলে ও ভোটারের কাছ থেকে ভোটের শর্ত না মানায় সরকারি বরাদ্দের গরুটি কেড়ে নেয়ার ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত- আবদুর রহিম খার ছেলে মোঃ বশির খা অভিযোগ করে জানান, জেলে তালিকায় নাম থাকায় মৎস্য বিভাগ থেকে সরকারি বরাদ্দে বিনামূল্যে একটি গরু পেয়েছিলেন তিনি। গতবুধবার দুপুরে তাকে গরুটি দেয়া হয়। গরু নিয়ে তার গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পথে মোবাইল ফোনে মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ হাওলাদার তার পক্ষে নির্বাচনী ক্যাম্পেইন করতে বলেন। এতে রাজি না হওয়ায় তার (উপজেলা চেয়ারম্যান)অনুগত কর্মীরা গরুটি কেড়ে নেয়।
জেলে বশির খানের অভিযোগ, গরুর বিনিময়ে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ড. হারুন অর রশীদ হাওলাদার তার মোটর সাইকেল প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে অনুরোধ করেন। তিনি ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি গরুটি ফেরত দিতে বললে, উপজেলায় গিয়ে বশির খান গরু ফেরত দিয়ে আসেন। বর্তমানে গরুটা উপজেলা চেয়ারম্যানের সরকারি বাসভবনে রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ হাওলাদার বলেন, অভিযোগটি শতভাগ মিথ্যা। আমি তাকে একটা গরু দিয়েছি। যে কিছু করে খাক এবং তাকে আমার ক্যাম্পেইন করতে রিকোয়েস্টও করেছি। তখন ও বলেছে আমি এখনো নামি নাই। নামব। এর বেশি কিছু হয়নি। গরু কি আমার, যে আমাকে ফেরত দেবে।
এদিকে ভোটের বিনিময়ে সরকারি বরাদ্দের গরু দেয়া ও তা কেড়ে নেয়ার ঘটনাটি জানাজানি হলে উপজেলার সর্বত্র ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠেছে।