বরিশাল ০৯:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমতলীতে গুপ্তধন দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিলো কবিরাজ

সজীব আহমেদ 
  • আপডেট সময় : ০৫:১৪:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪ ৫৮ বার পড়া হয়েছে
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি। বরগুনার আমতলীতে গুপ্তধন পেতে জসিম কবিরাজ নামের এক ব্যক্তিকে দিলেন ৭০ হাজার টাকা।  আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডেও মো. জলিল হাওলাদারের পরিবারের সাথে গুপ্তধন দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে কবিরাজ জসিম উদ্দিন এর বিরুদ্ধে।
জলিল হাওলাদারের বাড়িতে গুপ্তধন সংরক্ষিত আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে  মঙ্গলবার ৯ জুলাই সকাল ৯ টাকার দিকে আমতলী থানার এস.আই সিদ্দিকুর রহমানসহ গ্রামের জনসাধারন জলিল হাওলাদারের বাড়িতে গেলে এলাকার গণ্যমান্য লোকজনদের উপস্থিতিতে ঘরের সিড়ির নিচ থেকে একটু মাটির নিচে একটি সাদা কাপড়ে মোড়ানো  সিলভারের পাতিল বের করে দেন জলিল হাওলাদার। তখন সিলভারের পাতিলের মধ্যে একটি সাদা কাপড়ে মোড়ানো  পাকিস্তানের ১৯৬৫ সালের ৫ পয়সাার একটি কয়েন ও ১৯৯৪ সালের  ভারতীয় ১০০ পায়সার ১টি কয়েন পাওয়া যায় ।
এবিষয়ে জলিল হাওলাদার বলেন, আমার মেয়ে ফারজানা দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ভাবে অসুস্থ, অনেক ডাক্তার কবিরাজ দেখিয়েছি, কোন সুফল পাই নাই, সর্বশেষ আমার জামাই হিরন এর মাধ্যমে জসিম  কবিরাজকে বাড়িতে এনে মেয়ের চিকিৎসা করাই, মেয়ে এখন মোটামুটি সুস্থ ঐ কবিরাজ বলছে এবং আমার মেয়ে স্বপ্নের মধ্যে দেখছে  যে মঙ্গলবার সকাল ৯ টায়  পাতিল খোলা হলে পাতিলের মধ্যে থেকে কোটি টাকার সোনার পয়সা ও গুপ্তধন মানিক বের হবে।  এজন্য কবিরাজ জসিমকে ৭০ হাজার টাকা দিতে হবে । জলিল একজন দিন মজুর অনেকের কাছ থেকে ধারধেনা করে কবিরাজ জসিমকে ৭০ হাজার টাকা প্রদান করেন।ঐগুপ্ত ধন দিয়ে জলিলের পরিবার কোটি  টাকার মালিক হয়ে যাবে।
কবিরাজের কথা মত মঙ্গলবার সকালে জলিল  তার নিকটতম আত্মীয়দের বাড়ীতে  খবর দিয়ে অনেন গুপ্ত ধনের পাতিল খোলা হবে এই জন্য।নিকটতম আত্মীয় স্বজন ও গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিদেও উপস্থিতিতে পাতিল খোলা হলে  সাদা কাপড়ে মোড়ানো পাকিস্তানের ১৯৬৫ সালের ৫ পয়সাার একটি কয়েন ও ১৯৯৪ সালের  ভারতীয় ১০০ পায়সার ১টি কয়েন পাওয়া যায় । এছাড়া ঐ পাতিলে আর কিছুই পাওয়া যায়নি।
জলিল হাওলাদার বলেন,  কবিরাজ গুপ্তধন দেয়ার নামে  আমার কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নিয়েছে। আমি গরীব মানুষ দিন মজুরের কাজ করি । আমি এই কবিরাজের বিচার চাই।
 আমতলী থানার এস আই মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন,খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে  স্থানীয় অনেক লোকজন দেখতে পাই। স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে  পাতিল খোলা হলে সাদা কাপড়ে মোড়ানো পাকিস্তানের ১৯৬৫ সালের ৫ পয়সাার একটি কয়েন ও ১৯৯৪ সালের  ভারতীয় ১০০ পায়সার ১টি কয়েন পাওয়া যায়। কবিরাজকে খুজে পাওয়া যায়য়নি।কবিরাজকে খোজা হচ্ছে।
 আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আমতলীতে গুপ্তধন দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিলো কবিরাজ

আপডেট সময় : ০৫:১৪:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি। বরগুনার আমতলীতে গুপ্তধন পেতে জসিম কবিরাজ নামের এক ব্যক্তিকে দিলেন ৭০ হাজার টাকা।  আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডেও মো. জলিল হাওলাদারের পরিবারের সাথে গুপ্তধন দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে কবিরাজ জসিম উদ্দিন এর বিরুদ্ধে।
জলিল হাওলাদারের বাড়িতে গুপ্তধন সংরক্ষিত আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে  মঙ্গলবার ৯ জুলাই সকাল ৯ টাকার দিকে আমতলী থানার এস.আই সিদ্দিকুর রহমানসহ গ্রামের জনসাধারন জলিল হাওলাদারের বাড়িতে গেলে এলাকার গণ্যমান্য লোকজনদের উপস্থিতিতে ঘরের সিড়ির নিচ থেকে একটু মাটির নিচে একটি সাদা কাপড়ে মোড়ানো  সিলভারের পাতিল বের করে দেন জলিল হাওলাদার। তখন সিলভারের পাতিলের মধ্যে একটি সাদা কাপড়ে মোড়ানো  পাকিস্তানের ১৯৬৫ সালের ৫ পয়সাার একটি কয়েন ও ১৯৯৪ সালের  ভারতীয় ১০০ পায়সার ১টি কয়েন পাওয়া যায় ।
এবিষয়ে জলিল হাওলাদার বলেন, আমার মেয়ে ফারজানা দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ভাবে অসুস্থ, অনেক ডাক্তার কবিরাজ দেখিয়েছি, কোন সুফল পাই নাই, সর্বশেষ আমার জামাই হিরন এর মাধ্যমে জসিম  কবিরাজকে বাড়িতে এনে মেয়ের চিকিৎসা করাই, মেয়ে এখন মোটামুটি সুস্থ ঐ কবিরাজ বলছে এবং আমার মেয়ে স্বপ্নের মধ্যে দেখছে  যে মঙ্গলবার সকাল ৯ টায়  পাতিল খোলা হলে পাতিলের মধ্যে থেকে কোটি টাকার সোনার পয়সা ও গুপ্তধন মানিক বের হবে।  এজন্য কবিরাজ জসিমকে ৭০ হাজার টাকা দিতে হবে । জলিল একজন দিন মজুর অনেকের কাছ থেকে ধারধেনা করে কবিরাজ জসিমকে ৭০ হাজার টাকা প্রদান করেন।ঐগুপ্ত ধন দিয়ে জলিলের পরিবার কোটি  টাকার মালিক হয়ে যাবে।
কবিরাজের কথা মত মঙ্গলবার সকালে জলিল  তার নিকটতম আত্মীয়দের বাড়ীতে  খবর দিয়ে অনেন গুপ্ত ধনের পাতিল খোলা হবে এই জন্য।নিকটতম আত্মীয় স্বজন ও গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিদেও উপস্থিতিতে পাতিল খোলা হলে  সাদা কাপড়ে মোড়ানো পাকিস্তানের ১৯৬৫ সালের ৫ পয়সাার একটি কয়েন ও ১৯৯৪ সালের  ভারতীয় ১০০ পায়সার ১টি কয়েন পাওয়া যায় । এছাড়া ঐ পাতিলে আর কিছুই পাওয়া যায়নি।
জলিল হাওলাদার বলেন,  কবিরাজ গুপ্তধন দেয়ার নামে  আমার কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নিয়েছে। আমি গরীব মানুষ দিন মজুরের কাজ করি । আমি এই কবিরাজের বিচার চাই।
 আমতলী থানার এস আই মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন,খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে  স্থানীয় অনেক লোকজন দেখতে পাই। স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে  পাতিল খোলা হলে সাদা কাপড়ে মোড়ানো পাকিস্তানের ১৯৬৫ সালের ৫ পয়সাার একটি কয়েন ও ১৯৯৪ সালের  ভারতীয় ১০০ পায়সার ১টি কয়েন পাওয়া যায়। কবিরাজকে খুজে পাওয়া যায়য়নি।কবিরাজকে খোজা হচ্ছে।
 আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।