পটুয়াখালী পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৪:১১:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালী প্রতিনিধি— পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফ হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। দাবিকৃত ঘুষের টাকা না দেয়ায় একটি জলমহাল ইজারা নবায়ন করা নিয়ে নয়ছয় করা হচ্ছে বলেও জানাযায়।
এবিষয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর জেলার সদর উপজেলার ১০নং কালিকাপুর ইউনিয়নের বহালগাছিয়া এলাকার মোঃ জাকির হোসেন লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফ হোসেনের কাছে।নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে জবাব চেয়েছেন। যথাযথ জবাব না দিতে পারলে ফৌজদারী মামলা রুজু করার কথা বলা হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা জজ আদালতের আইনজীবী আলহাজ¦ সৈয়দ আলতাফ হোসেন খানের মাধ্যমে করা লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে- ‘জলমহাল ইজারা নবায়ন না করায় ইজারা গ্রহীতা মোঃ জাকির হোসেনের প্রায় ৩৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। উল্লেখিত ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদান না করলে এবং ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করার অপরাধে প্রকৌশলী মোঃ আরিফ হোসেনের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা রুজু করার কথা বলা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায় উক্ত জলমহালে অবাধে মাছ শিকার করেছে সাধারণ মানুষ।তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায় আমরা সাইনবোর্ড দেখে এসেছি।এতদিন মহালটি ইজারাদারের হাতে ছিল।এখন নেই তাই আমরা মাছ ধরছি।
ইজারাদার মোঃ জাকির হোসেন জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আমার কাছে একলক্ষ টাকা দাবী করে বলে এটা দিলে আবার আপনাকে জলমহালটি পাইয়ে দিবো।আমি তার দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় আমাকে কোন সর্তকীকরন নোটিশ না দিয়েই জলমাহলে নোটিশ টানিয়ে দেয়।এতে আমার পয়ত্রিশ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ২ ডিসেম্বর মৎস্য অধিদপ্তরাধীন খাদ্য সহায়তায় মৎস্য ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড, ভূমি মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে জলাশয় ইজারা ও ব্যবস্থাপনা জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
উক্ত চুক্তির প্রথম পক্ষ ছিলেন ভূমি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলাশয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসকের পক্ষে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। দ্বিতীয় পক্ষ ছিলেন সুবিধাভোগী মোঃ জাকির হোসেন। স্বাক্ষরিত জলাশয় ইজারা চুক্তি অনুযায়ি প্রতি ৫ বছর মেয়াদান্তরে ইজারা নবায়ন করে আসছিলেন ইজারা গ্রহীতা মোঃ জাকির হোসেন। কিন্তু এছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফ হোসেন ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। দাবিকৃত ঘুষের টাকা না দেয়ায় ইজারা নবায়নে আপত্তি জানানো হয়। এতে মোঃ জাকির হোসেনের প্রায় ৩৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
এবিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন- ‘কর্তৃপক্ষ ইজারা বাতিল করতে পারেন।জলাশয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের। গত ২০১৮ সালে পাউবো’র কাছ থেকে পাওয়া জলাশয়টি আমারা লিজ দিয়েছি।এবছর মিটিং এ পাউবো’র প্রতিনিধি তারা দিতে সন্মতি হননি তাই আমরা দিতে পারি নাই।
নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফ হোসেন ঘুষ দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- ‘ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ নিজেরা আয় বর্ধকমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ইজারা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।