হরিনাফুলিয়া এলাকায় ভূমিদস্যু বাচ্চু ফরাজী কর্তৃক এক নারীর ক্রয়কৃত জমিতে জোরপূর্বক ঘর তোলা ও হামলার অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৫:৩৮:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২৬ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক— বরিশাল নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ড হরিণাফুলিয়া এলাকায় ভূমিদস্যু বাচ্চু ফরাজীর কতৃক এক নারীর ক্রয় কৃর্ত জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ ও ওই নারীর ছেলেকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে । গত ৯ আগস্ট শুক্রবার দুপুর ১ টার দিকে প্রতিপক্ষরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভাড়াটে লোকজন দিয়ে অবৈধ দখলের উদ্দেশ্যে মাজেদা বেগম নামে এক নারীর জমিতে একটি ঘর নির্মাণ করে। পরবর্তীতে এ খবর জানতে পেয়ে জমির মালিক মাজেদা বেগমের বড় ছেলে মিলন তাদের জমির কাছে গিয়ে জমিতে জোরপূর্বক ঘর তোলার ছবি ধারণ করে বাড়িতে ফেরার পথে পূর্বপরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষরা হামলা চালায়। গত ৫ ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দিন সকাল সাড়ে দশটায় নতুনহাট নামক স্থানে বসে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বাচ্চু ফরাজী পূর্বপরিকল্পিতভাবে মিলনের পথরোধ করে লাঠি সোটা দিয়ে মিলনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা আহত মিলনকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী মাজেদা বেগম সাংবাদিকদের জানায়, তার ক্রয় কৃত ১৬ শতাংশ জমির উপরে লাগানো গাছ কেটে ঘর নির্মাণ করে জবেদা বেগমের মেয়ের জামাই শ্রমিক দলের সদস্য দাবী কৃত বাচ্চু ফরাজী। মাজেদা বেগম আরো জানায়, দীর্ঘদিন মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষ জবেদা বেগমের মেয়ের জামাই শ্রমিক দলের নেতা বাচ্চু ফরাজী তার ভাড়াটে গুন্ডাবাহিনী নিয়ে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করে। এবং প্রতিপক্ষকে হুমকি-ধামকি দেয়। জানাগেছে, অন্তবর্তী কালীন নতুন সরকার গঠনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যখন দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত ছিলো সেই সুযোগ নিয়েই তখনই ভূমিদস্যু বাচ্চু ফরাজি নিজেকে শ্রমিক দলের নেতা পরিচয়ে ৯ই আগস্ট পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মাজেদা বেগমের ক্রয়কৃত জমিতে ঘর নির্মাণ করে। আক্কেল আলী গংদের কাছ থেকে ৩০ আগস্ট ২১ ইং তারিখে সাব কবলা দলিলে ১৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে মাজেদা বেগম। জমি ক্রয়ের পর মাজেদা বেগম সেখানে গাছপালা লাগায় এবং ফলফলাদি চাষ করে। পরবর্তীতে এর কিছুদিন পরে প্রতিপক্ষ জবেদা বেগম ও তার মেয়ের জামাই বাচ্চু ফরাজি,ছেলে দুলাল খান,লিটন খান, মেয়ে রুনু বেগম, নাতি হাসিব, দীন ইসলাম,সহ অজ্ঞত চার পাঁচ জন রাতের আঁধারে মাজেদা বেগমের ফলের গাছ কেটে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মাজেদা বেগম প্রতিবাদ করলে প্রতিপক্ষরা মাজেদা বেগমের পরিবারের নামে একাধিক মামলা করে ও মাজেদা বেগমের জমিতে জমি পাবেনা বুঝতে পেরে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করে। এছাড়াও উক্ত জমির কাছে মাজেদা বেগম ও তার সন্তানরা গেলে তাদের প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দেয়। প্রতিপক্ষের দেয়া একাধিক মামলা, জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ ও খুন রকমের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মাজেদা বেগমের পরিবার। এ বিষয়ে মাজেদা বেগমের পরিবাররা সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।