সংবাদ শিরোনাম ::
আমতলীতে নকল বীজে সর্বস্বান্ত কৃষক, ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন
বরিশাল সময় নিউজ রিপোর্ট
- আপডেট সময় : ০৫:২৬:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৪ বার পড়া হয়েছে
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনার আমতলীতে নকল ধান বীজ রোপন করার ১ মাসের মধ্যে চারায় ধান আসায় চরম বিপাকে পড়েছে উপজেলার গোছখালী গ্রামের প্রায় অর্ধশত কৃষক। কৃষকরা ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর )বেলা ১১ টায় গোছখালী গ্রামে কৃষক মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নকল বীজ বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে এ মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জানান, স্থানীয় ডিলার মো. চাঁন মিয়ার কাছ থেকে ১ মাস আগে প্রাইম কোম্পানীর লাল গুটি স্বর্না বীজধান ক্রয় করে রোপণ করেন । কিন্তু ধান বিজ রোপনের ১ মাসের মধ্যে ধান চারার গর্ভে ধান ধান চলে এসেছে । এতে গোছখালী গ্রামের ৫০ একর জমির ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ওসমান গনি, মনিরুল, বেল্লাল, মজিবর খলিফা, আব্দুর রব মনির, আমজেদ তালুকদার, রফিক , আল আমিন, সাইদুল, হানিফ, জামাল গাজী, জালাল প্যাদা, মহসিন প্যাদা, চান মিয়া তালুকদার, ছালাম মোল্লা, আল আমিন বলেন, আমরা কৃষকরা স্থানীয় ডিলার মো. চাঁন মিয়ার কাছ থেকে ৭৭০ টাকা করে প্রাইম কোম্পানীর ১ কেজির বস্তার লাল গুটি স্বর্না ধান বিজ ক্রয় করে ধান চারার জন্য রোপন করি। কিন্তু রোপনের ১ মাসের মধ্যে ধান চারায় থোড় ধরেছে (ধান চারায় ধান ফলেছে) এখন আমাদের কৃষকদের প্রায় ৫০ একর জমিতে ধানের চারা রোপন করতে পারবোনা। এখন নতুন করে চারা করার সময় ও নাই আর কোথায় ও চারা বিজ পাওয়া যাচ্ছেনা।আমরা ক্ষতিগ্রস্থরা ধান বিজ বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান ইউনুস এন্ড সন্স এর ডিলারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরন ও তার বিচারের দাবী জানাই উপজেলা প্রশাসনের কাছে।
এব্যাপারে স্থানীয় ডিলার মো. চান মিয়া বলেন, আমতলী হাসপাতাল রোডের ইউনুস এন্ড সন্স এর ডিলার ইউনুস মিয়ার কাছ থেকে এই বিজ পাইকারী ক্রয় করে কৃষকদের কাছে বিক্রি করেছি। বিষয়টি ইউনুস ডিলারকে জানানো হয়েছে । আমি ও ইউনুস ডিলারের বিচার চাই।
এপ্রসঙ্গে আমতলীর ইউনুস এন্ড সন্স এর মালিক বীজ ডিলার মো. ইউনুস মিয়া মুঠোফোনে বলেন, লালগুটি স্বর্না ধানের বীজ রোপনরে ২৫ দিনের মধ্যে চারা রোপন করতে হবে। কৃষকরা দেড় মাস বয়সে চারা রোপন করায় চারার গর্ভে ধান চলে এসেছে।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার মো. ঈসা বলেন বিষয়টি শুনেছি । তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশরাফুল আলম বলেন, তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।