পরকীয়ার টানে স্বামী সন্তান রেখে প্রবাসীর স্ত্রী উধাও
- আপডেট সময় : ০১:৪৬:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৪০৯ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোলায় পরকীয়ার টানে স্বামী সন্তান রেখে প্রবাসী স্ত্রী উধাও। গত শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) পরকীয়ার টানে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী, মোসাঃ উম্মে হাবিবা সাথী (৩২) পরকীয়া প্রেমিক মো. ইউসুফ শামীমের সাথে পালিয়ে যায়। তথ্যসূত্রে জানা যায় মোসাঃ উম্মে হাবিবা সাথীর, পিতা আব্দুল মোতালেব, এর মেজ মেয়ে, উকিলপাড়া মহিলামাদ্রাসা ৭ নং ওয়ার্ড ভোলা পৌরসভা, থানা- ভোলা সদর, জেলা ভোল।
সৌদি প্রবাসী মো.কামাল আহম্মেদ (ওরফে মো. বিল্লাল ৩৮) বলেন মোসাঃ উম্মে হাবিবা সাথীর সাথে। আমরা উবায় পক্ষের ফ্যামিলির সিদ্ধান্তে ১৪ বছর পূর্বে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। আমার স্ত্রীর গর্ভে একটি মেয়ে রয়েছে নাম তার রাইসা মনি(১৩) জন্ম গ্রহণ করে। বিবাহর পর কয়েক বছর আমার স্ত্রীর সাথে আমার সুন্দরভাবে সংসার আদান প্রদান হয়। আমার স্ত্রী সাথে অন্য অনেক পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। সে নিয়মিত অন্য পুরুষের সাথে মোবাইলে কথাবার্তা বলে। আমি বিদেশে থাকি।আমি বিদেশে থাকা কালীন সময়ে আমার স্ত্রী আরো একটি বিবাহ করেন আমার অজান্তে। যাহা আমি বাড়িতে আসিয়া জানিতে পেরেছি। পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে মীমাংসা করা হয়।আমি মেয়ের কথা চিন্তা করিয়া আমার স্ত্রীকে মানিয়া নেই।
আমি আমার স্ত্রীর জায়গার উপর আমার টাকা দিয়ে আমি ৩ তলা বিল্ডিং করেছি। যাহাতে আমি বিদেশে থেকে আয়করা (৯০ লক্ষ টাকা) খরচ করে বাড়ির কাজ সম্পূর্ণ করেছি। আমি সৌদি আরব থেকে গত ৩ মাস পূর্বে বাড়িতে আসি। আমার স্ত্রী অন্য পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। আমি পরকেরিয়ার বিষয় নিয়ে নিজেরা বসিয়া সমাধান করার চেষ্টা করিলে ও আমার স্ত্রী তা মানে না। আমার স্ত্রী গত ১ মাস পূর্বে বাসা হইতে চলিয়া গিয়া অন্য পুরুষকে বিবাহ করে বলে আমি জানতে পেরেছি। আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে, আমার স্ত্রী অন্য পুরুষ কে বিবাহ করেন।
আমার স্ত্রীর কর্মকাণ্ডগুলো আমার শ্বশুর, শাশুড়ি, তিনি ও তার মেয়েকে সহযোগিতা করত। গত শনিবার( ৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬ ঘটিকায় সময়। আমার বসত ঘরের মধ্যে আমার স্ত্রী ও শশুর, শাশুড়ি, ও তাদের আত্মীয়-স্বজন মিলে আমাকে দা ও লাঠি সোঠা নিয়ে আমার বাসায় প্রবেশ করিয়া আমার উপর অতর্কিতভাবে আক্রমণ করে আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারধর করিয়া ও কোপাইয়া গুরুতর জখম করে। আমি ডাক চিৎকার দিলে আশে পাশের লোকজন আগাইয়া আসিয়া আমাকে তাদের নিকট হইতে রক্ষা করে। আমার অবস্থা খারাপ দেখে আমাকে স্থায়ীভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করাইয়াছেন। আমি উপরোক্ত বিষয়ে স্থানীয় গর্ণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাইয়া অনেক চেষ্টা করিয়া মীমাংসায় ব্যর্থ হই পরে আমি ভোলা সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়েল করি।
এ বিষয়ে মোসাঃ উম্মে হাবিবা সাথীর, বাবা মোতালেব ও তার মা ফরিদা ইয়াসমিন গণমাধ্যম কর্মীদেরকে বলেন।আমার মেয়ে অন্যায় করিয়াছে তবে। আমার মেয়ের জামাইর ও অনেক দোষ, অন্যায়, অপরাধ আছে। যেহেতু থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। থানায় বসে একটি সুস্থ সমাধান করবে বলে জানিয়েছে।
এ বিষয়ে ভোলার সদর মডেল থানার বারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মিজানুর রহমান পাটোয়ারী সাংবাদিকদের কে বলেন একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।