সংবাদ শিরোনাম ::
অবৈধ সম্পদ তদন্তের নির্দেশ প্রশাসনের
দিনমজুর থেকে কোটিপতি সুমন মেম্বার
বরিশাল সময় নিউজ রিপোর্ট
- আপডেট সময় : ০৭:৪৭:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩০ বার পড়া হয়েছে
উজিরপুর প্রতিনিধি— বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও শ্রমিক লীগের প্রভাবশালী নেতা সুমন মৃধার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় জনতা। অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিকারপুর ইউনিয়নের এই প্রভাবশালী ইউপি সদস্য তিনি ছোটবেলা থেকেই ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের শিকারপুর বাসস্ট্যান্ডের পরিবহন কাউন্টারের সামান্য দিনমজুর ছিলেন।এরপর থেকে সক্রিয়ভাবে শ্রমিক লীগে যোগদান করে শিকারপুর হাটের বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে ও ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দোকানপাট দখল করে, অবৈধভাবে বিপুল অর্থ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ৮৩ নং জয়শ্রী মৌজায় ৩ নং খতিয়ানের ১৯৩৬/১৯৩৫ দাগে অবৈধ ক্ষমতার দাপটে কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে বহুতল ভবন নির্মাণ করেন, এমনকি তার নিজ বাড়িতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেন আলিশান বাড়ি নির্মাণ করেন। সে বাড়িতে বিলাসবহুল নির্মাণ সামগ্রীসহ বিলাসবহুল আসবাবপত্র ক্রয় করে ব্যবহার করছেন। তিনি শিকারপুর বন্দরে অবৈধভাবে সম্পূর্ণ পেশিশক্তি ব্যবহার করে সরকারি জমি দখল করে একাধিক পাকা দোকানপাট নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন। তিনি এতটাই প্রভাবশালী ছিলেন যে তার বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা বললে তাদের বিরুদ্ধে হামলা মামলা করে হয়রানি করার শত অভিযোগ রয়েছে। তিনি তার বাহিনী দিয়ে শিকারপুর বন্দরে মুক্তিযোদ্ধা সহ একাধিক ব্যবসায়ীদের দোকান দখল করে পরে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রমাণ রয়েছে। এই শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে শিকারপুর হাটের পশুর হাটের স্টল ঘর দখল করে প্রথমে আওয়ামী লীগের অফিস হিসেবে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দখল করেন। পরবর্তীতে সময় সুযোগ মতো এই স্টল ঘর স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেন। এ বিষয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীরা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেন। রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী মহাসিন জানান, সামান্য দিনমজুর থেকে তিনি কি করে বরিশালের কাশিপুর কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হলেন, তার বাবা ছিলেন ভূমিহীন ও সামান্য মটর শ্রমিক কি করে কোটি টাকার মালিক হলেন বিষয়টি রহস্যজনক।সুমনের অবৈধ অর্থের প্রভাবে অন্যান্য ইউপি সদস্যরা ইউনিয়ন পরিষদের কোন কাজ পেতেন না বলে অভিযোগ অন্যে ইউপি সদস্যদের। স্থানীয় ব্যবসায়ী জালিছ মাহমুদ জানান, আমি সুমনকে ছোটবেলা থেকে শিকারপুর দূরপাল্লার বাস কাউন্টারের দিনমজুরী করতে দেখেছি, , সেখান থেকে শুধুমাত্র শ্রমিক লীগের নেতা হয়ে চাঁদা ও দখলবাজি করে, নিজ এলাকায় ও বরিশালের কাশিপুর মৌজায় কয়েক কোটি টাকার জমির মালিক হয়েছেন। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সুমন মেম্বার জানান, আমি বিভিন্ন সময়ে হাটের ইজারাদার ছিলাম ও শ্রমিক নেতা ছিলাম সেখান থেকে জনগণের ভালোবাসা ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছি একই সাথে বিভিন্ন ঠিকাদারি করে আমি সম্পদের মালিক রয়েছি। অভিযোগের বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন জানান, সরকারি জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের বিষয় একটি অভিযোগ পেয়েছি, সহকারী কমিশনার ভূমিকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।