বরিশাল ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উজিরপুরে সেনাবাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৬ রাজাপুরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ডিম মাংসের পর নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে পাঙাসও উজিরপুরে জেলেদের মাঝে চাল বিতরন শুরু মঠবাড়িয়ায় হার পাওয়ার প্রকল্পের ফ্রীল্যান্সিং ২৫ প্রশিক্ষনার্থী পেল ল্যাপটপ উজিরপুরে সুদের টাকার বিনিময়ে জমি লিখে নিয়ে বৃদ্ধাকে ঘড় থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ রাজাপুর অফিসার্স কল্যান ক্লাবের পক্ষ থেকে ওসি আতাউরকে বিদায়ী সংবর্ধণা ঝালকাঠিতে আদালতের নথিপত্র জালিয়াতির দায়ে আক্কাস সিকদারকে শোকজ টি–টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা মাহমুদউল্লাহর উজিরপুরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৩ টি ল্যাপটপ চুরি

বরিশালে ওয়ান ব্যাংকের কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে নোটিশ

বরিশাল সময় নিউজ রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৮:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৪৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক—  বরিশাল নগরীতে এক প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে শর্তসাপেক্ষে ৩৮ লাখ টাকা ধার নিয়ে না দেয়ার অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ করা হয়েছে। নোটিশ দাতা নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ড আলতাফ কমিশন লেন, অক্সফোর্ড মিশন রোড ইতালি প্রবাসী মোঃ শাহিনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম পপি। তার পক্ষে গত ৯ সেপ্টেম্বর নোটিশ দেন বরিশাল জজ কোর্ট এডভোকেট আবিদা সুলতানা শর্মী। নোটিশ গ্রহিতা বরিশাল সদর ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড শাখা কর্মকর্তা মামুনুল হক, ও তার স্ত্রী রশিদ ই রোমানা নোটিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম পপির ছেলে ও নোটিশ গ্রহীতা রশিদ রোমানার মেয়ে একই কোচিং সেন্টারে পড়াশোনার সুবাধে পরিচয় হয়। পর্যায়ক্রমে এতই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়ে ওঠার ফলে টাকা-পয়সার লেনদেন শুরু হয়। রশিদ ই রোমানার স্বামী মামুনুল হক বরিশাল ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের চাকরির পাশাপাশি ঠিকাদারি সহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন।  টাকার প্রয়োজনে গত ২ জানুয়ারি ২৪ , প্রবাসীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম পপির কাছ থেকে নগদ ৩৮ লক্ষ টাকা ধার গ্রহণ করেন। কিছু জমির অরিজিনাল দলিল ও ব্যাংকের ৪টি চেক এর মাধ্যমে। তিন মাসের মধ্যে  ধার নেওয়া টাকা ফেরত দেবো, না হয় জামানত রাখা দলিলের জমি রেজিস্ট্রি করে দেবো। নোটিশ দাতা  তিন মাস পর পাওনা টাকা চাইতে গেলে গত ২২ মার্চ ব্যাংক কর্মকর্তা মামুনুল হক ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে একখানা অঙ্গীকার নামা প্রদান করেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে পাওনা টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করবেন। সময় শেষ হওয়ার পর নোটিশ গ্রহীতা মামুনুল হক গত ২৭ আগস্ট মেসার্স মোতাহার মোটর ১০ লক্ষ টাকা ও ১৫ লক্ষ টাকার এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড ঝিনাইদা শাখা দুইটি চেক প্রদান করেন।  একইভাবে অপর নোটিশ গ্রহিতা ও মামুনুল হকের স্ত্রী রশিদ ই রোমানা গত নয় সেপ্টেম্বর ১০ লাখ টাকার একটি ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের চেক প্রদান করেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ৪টি চেক ডিজাইনার করে ফেরত পাঠান। যে কারণে ফাতেমা বেগম পপির পক্ষে এডভোকেট সুলতানার শর্মী এ মর্মে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন যে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নোটিশ দাতার পাওনা টাকা পরিশোধ করিয়া জমাকৃত দলিল ও দলিলের টিকিট গ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে বলা হলো। অন্যথায় নোটিসদাতা আপনার বিরুদ্ধে এন আই এক্টর ১৩৮ ধারার বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করিতে বাধ্য হইবে। মামলার যাবতীয় খরচ আপনি নোটিশ গ্রহিতা সকল বহন করিতে হইবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বরিশালে ওয়ান ব্যাংকের কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে নোটিশ

আপডেট সময় : ০৮:৫৮:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক—  বরিশাল নগরীতে এক প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে শর্তসাপেক্ষে ৩৮ লাখ টাকা ধার নিয়ে না দেয়ার অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ করা হয়েছে। নোটিশ দাতা নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ড আলতাফ কমিশন লেন, অক্সফোর্ড মিশন রোড ইতালি প্রবাসী মোঃ শাহিনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম পপি। তার পক্ষে গত ৯ সেপ্টেম্বর নোটিশ দেন বরিশাল জজ কোর্ট এডভোকেট আবিদা সুলতানা শর্মী। নোটিশ গ্রহিতা বরিশাল সদর ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড শাখা কর্মকর্তা মামুনুল হক, ও তার স্ত্রী রশিদ ই রোমানা নোটিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম পপির ছেলে ও নোটিশ গ্রহীতা রশিদ রোমানার মেয়ে একই কোচিং সেন্টারে পড়াশোনার সুবাধে পরিচয় হয়। পর্যায়ক্রমে এতই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়ে ওঠার ফলে টাকা-পয়সার লেনদেন শুরু হয়। রশিদ ই রোমানার স্বামী মামুনুল হক বরিশাল ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের চাকরির পাশাপাশি ঠিকাদারি সহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন।  টাকার প্রয়োজনে গত ২ জানুয়ারি ২৪ , প্রবাসীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম পপির কাছ থেকে নগদ ৩৮ লক্ষ টাকা ধার গ্রহণ করেন। কিছু জমির অরিজিনাল দলিল ও ব্যাংকের ৪টি চেক এর মাধ্যমে। তিন মাসের মধ্যে  ধার নেওয়া টাকা ফেরত দেবো, না হয় জামানত রাখা দলিলের জমি রেজিস্ট্রি করে দেবো। নোটিশ দাতা  তিন মাস পর পাওনা টাকা চাইতে গেলে গত ২২ মার্চ ব্যাংক কর্মকর্তা মামুনুল হক ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে একখানা অঙ্গীকার নামা প্রদান করেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে পাওনা টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করবেন। সময় শেষ হওয়ার পর নোটিশ গ্রহীতা মামুনুল হক গত ২৭ আগস্ট মেসার্স মোতাহার মোটর ১০ লক্ষ টাকা ও ১৫ লক্ষ টাকার এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড ঝিনাইদা শাখা দুইটি চেক প্রদান করেন।  একইভাবে অপর নোটিশ গ্রহিতা ও মামুনুল হকের স্ত্রী রশিদ ই রোমানা গত নয় সেপ্টেম্বর ১০ লাখ টাকার একটি ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের চেক প্রদান করেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ৪টি চেক ডিজাইনার করে ফেরত পাঠান। যে কারণে ফাতেমা বেগম পপির পক্ষে এডভোকেট সুলতানার শর্মী এ মর্মে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন যে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নোটিশ দাতার পাওনা টাকা পরিশোধ করিয়া জমাকৃত দলিল ও দলিলের টিকিট গ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে বলা হলো। অন্যথায় নোটিসদাতা আপনার বিরুদ্ধে এন আই এক্টর ১৩৮ ধারার বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করিতে বাধ্য হইবে। মামলার যাবতীয় খরচ আপনি নোটিশ গ্রহিতা সকল বহন করিতে হইবে।