ভান্ডারিয়া জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক গর্ভবতী নারীসহ তিন জনকে পিটিয়ে জখম
- আপডেট সময় : ০৪:২৬:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭৩ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক— ভান্ডারিয়া থানাধীন ধাওয়া গ্রামে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক গর্ভবতী নারীর সহ একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । এ সময় বাড়িঘর ভাঙচুর করে মারধোর, টাকা ও স্বর্ণালংকা লুট করে নিয়ে যায়। এতে আহতরা হলেন ধাওয়া গ্রামের মৃত মজিদ শিকদারের ছেলে তানভীর শিকদার (৪০) তানভীরের ছেলে তামিম শিকদার (১৪) ও স্ত্রী মনিরা বেগম (৩৫)। স্থানীয়রা আহতদের মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে।সেখানে আহতদের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্ররেণ করে। এ বিষয়ে আহত তানভীরের ভাই মারুফ শিকদার সাংবাদিকদের জানায়, তানভীর শিকদারের সাথে কুয়েত প্রবাসী সাব্বির শিকদারের জমি জমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে।আর এ নিয়ে বিভিন্ন সময় সাব্বির শিকদার তার প্রতিপক্ষ তানভীর শিকদারকে বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতা আজ সকাল ১১ টায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রবাসী সাব্বির শিকদার তার ভাড়াটে লোকজন দিয়ে তানভীর শিকদারের বাড়িতে হামলা চালায়।মারুফ শিকদার আরোজানায়,প্রবাসে বসে বিএনপি’র কর্মী মিন্টু গ্রুপকে ভাড়া করে প্রবাসী সাব্বির শিকদার। আজ পরিকল্পিত ভাবে সকাল ১১ টায় মিন্টু গ্রুপ তার লোকজন নিয়ে তানভীর শিকদারের বাড়িতে হামলা চালায়,।এ সময় মিন্টু গ্রুপের মিন্টু, সোহাগ, রাসেল, তারেক মল্লিক, মিজান, রাসেল, দেলোয়ার, জাকির,রনি ও বশির সহ এক দের শত জন লোহার রড, পাইপ ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আচমকা তানভীর শিকদারের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা তানভীর শিকদার, তার ছেলের তামিম ও তিন মাসের গর্ভবতী স্ত্রী মনিরা বেগম কে পিঠিয়ে গুরুতর জখম করে।ও বাড়িঘড় ভাঙচুর করে ঘরে থাকা বাড়ির কাজ ধরার জন্য নগদ ১০ লক্ষ টাকা ও স্ত্রীর দশ ভরি স্বর্ণ অলংকার ছিনিয়ে নেয় মিন্টু গ্রুপের মিন্টু ও তার ভাড়াটি সন্ত্রাসীরা। পরে আহতদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে ধাওয়া দিলে পালিয়ে যায় মিন্টু গ্রুপের সন্ত্রাসীরা।বর্তমানে আহতরা শেবাচিমে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে আহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।