নিজস্ব প্রতিবেদক—   ভোলার দক্ষিণআইচা থানার নজরুল নগর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের চর নলুয়া গ্রামে। গত রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল আনুমানিক ৮/৩০ ঘটিকার সময়।  মো. নয়ন খাঁ তার বাড়ির সামনে বসে ছিল। এ সময় মো.আনোয়ার শিকদার তাকে সুপারি চুরি হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগোদ্য ভাষায় গালমন্দ করে।  মো. নয়ন বলে ওরা পূর্বের শত্রুতার জের ধরে। সিদ্দিক শিকদার ও সালাউদ্দিন শিকদারের নেতৃত্বে কিছু  আওয়ামীলীগের প্রবাবশালী কিছু সংখ্যক নেতাকর্মীরা। আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী সিদ্দিক সিকদার, সালাউদ্দিন সিকদার, মোকশেদ, কামাল, রনি হাওলাদার,খোকন হাওলাদার, আল আলামিন, আনোয়ার সিকদার সহ প্রায় ১০ জন। ক্যাডার ও সন্ত্রাস বাহিনীরা আমাদের। বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। হামলায় আমাদের প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৫ গুরুতভাবে জখম হয়েছে।    এ সময় দক্ষিণ আইচা থানা যুবদলের সদস্য মো.শাহাজান মাল। এবং নজরুল নগর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক মো.ইউসুফ খাঁ। ৯ নং ওয়ার্ডের মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মো.মামুন খাঁ সহ ৮ থেকে ১০ জনকে গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন। তাদের ডাক চিৎকার শুনে  প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাদেরকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহতরা এখন চরফ্যাশন উপজেলা হাসপাতলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।  স্থানীয়রা বলেন চর নলুয়া গ্রামের, আওয়ামীলীগ পরিচয়দানকারী সন্ত্রাসী পাতি নেতারা। বহু বছর ধরে একাধিক ভাবে মো.শাহজাহান মাল, মো.বশির মাল, মো.ইউসুফ খাঁ, মো.নয়ন খাঁ,ও মামুন সহ তাদের আত্মীয়-স্বজন সবাই কে। মামলা, হামলা, ও নির্যাতন সহ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।   আওয়ামীলীগের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে, দক্ষিণ আইসা থানার নজরুল নগর ইউনিয়নের সকল বিএনপির নেতাকর্মীদের কে। বিভিন্নভাবে হয়রানি ও জমি দখলসহ নানান  ধরনের হয়রানি করে আসছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।  এ মারামারি বিষয়ে মো.আনোয়ার শিকদার সাংবাদিকদের কে বলেন। আমাদের সুপারি চুরি হয়েছে, আমি গালিগালাজ করেছি। কিন্তু কারো নাম মেনশন করে নয়। কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগ করি এটাই আমাদের বড় অপরাধ। তাই বলে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমার কাকা সিদ্দিক সিকদার গুরুতর ভাবে আহত হয়ে মাথায় আঘাত লেগেছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পূরণ করা হয়েছে। তিনি এখন চিকিৎসাধীন আছে।  এই মারামারির বিষয়ে দক্ষিণ আইচা থানার বারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ আহম্মেদ সাংবাদিকদের কে বলেন।আমি উভয় পক্ষের কোন প্রকার অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।