সংবাদ শিরোনাম ::
ভান্ডারিয়ায় দাফনের দেড় মাস পর কবর থেকে ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার
মোঃ আকাইদুই ইসলাম সহাদ
- আপডেট সময় : ০৬:১৬:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৬ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধি— পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া দাফনের প্রায় দেড় মাস পর কবর থেকে রফিকুল ইসলাম ওরফে মিঠু ফকির নামে এক ব্যক্তির লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ। পরে লাশ পোস্টমর্টেমের জন্য পিরোজপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়।
মিঠু ফকির উপজেলার দক্ষিণ ভিটাবাড়িয়া গ্রামের মোশারফ হোসেন ফকিরের ছেলে। সে ভান্ডারিয়ায় টাইলসের ব্যবসা করত। নিহত মিঠুর তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
পাওনা টাকা ফেরত না দেওয়াকে কেন্দ্র করে কত ৫ আগস্ট রাতে মিঠুকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন। পরের দিন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিঠুর মৃত্যু হয়। ওই সময় পুলিশ প্রশাসনের কোন কার্যক্রম না থাকায় মৃতদেহের কোন ময়নাতদন্ত কিংবা সুরতহাল হয়নি। পরবর্তীতে এ ঘটনায় ১৬ আগস্ট মৃতের স্ত্রী মিতু আক্তার বাদি হয়ে ভান্ডারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় জহির সরদার নামে এক ব্যক্তি মিঠুর কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ধার হিসেবে নেন। পরবর্তীতে সেই টাকা ফেরত না দেওয়ায় মিঠুর সাথে জহিরের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এছাড়া স্থানীয় একটি মামলায় জহিরের ভাই রহিম সরদারকে গ্রেফতারের ঘটনায় মিঠুর সাথে তাদের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এর জেরে গত ৫ আগস্ট রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মিঠু স্থানীয় অন্য দুই ব্যক্তির সাথে কাপালির হাট থেকে বাড়িতে ফেরার পথে জামেয়াই ফাতিমিয়া দাখিল মাদ্রাসার সামনে জহিরের নেতৃত্বে ১৬-১৭ জন লোক ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের উপরে হামলা করে। এরপর কুপিয়ে ও পিটিয়ে তাদের তিনজনকে গুরুত্ব জখম করে হামলাকারীরা।
তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। এরপর সেখান থেকে মিঠুকে প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন মারা যায় মিঠু। মিঠু মারা যাওয়ার দশ দিন পর ১৬ আগস্ট তার স্ত্রী পলি আক্তার বাদী হয়ে ভান্ডারিয়া থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ৫-৭ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে সোমবার দুপুরে মৃতদেহটি কবর থেকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় পিরোজপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর একজন চিকিৎসক এবং ভান্ডারিয়া থানার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তৌফিক আনোয়া বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ ও পিরোজপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। লাশটি পিরোজপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।’