আমতলীতে হাটের জমি প্রভাবশালীদের দখলে! রয়েছে তাদের ভবনও
- আপডেট সময় : ০৫:৫৫:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩২ বার পড়া হয়েছে
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনার আমতলী উপজেলার ঐতিহ্যবাহি চুনাখালী হাটবাজারের জমি প্রভাবশালীরা দখল করে দুই তিনতলা পাকা স্থাপনা করে বসবাস করছেন। প্রভাবশালীরা প্রকাশ্য হাটের জমি দখল করলেও ব্যবস্থা নিচ্ছেনা প্রশাসন।দখলদাররা মানছেনা কোন আইন কানুন। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ইজারাদার। রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। প্রতি শনিবার হাটের দিন ব্যবসায়ীরা বসতে পারছেনা দখলদার কর্তৃক ভবন করায়।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে,পূর্বচুনাখালী মৌজায় ৬.৭৫ একর জমি হাট বাজারের নামে রয়েছে তার অধিকাংশ প্রভাশালীরা দখল করে দুই তিন তলা ভবন করে দখল করে রেখেছেন। স্থানীয়রা জানান, প্রভাশালী মো. মোফাজ্জেল হোসেন, লিটু কাজী, সুলতান মাষ্টার, কেনান মাদবর, মনজু মাষ্টার. বারেক মাষ্টার ছত্তার, মাষ্টার. কালামসহ একাধিক প্রভাশালী ব্যক্তি পাকা স্থাপনা করে দু তিন তলা ভবন করে সরকারী হাটের জমি দখল করে আছেন।
এছাড়া ও ঐতিহ্যবাহি চুণাখালী হাট বাজারের বিভিন্ন স্থানে খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ইটের সোলিং উঠে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।বাজারের বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনার পচা দুর্গন্ধে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ময়লা-আবর্জনা ফেলার কোনো ডাস্টবিন ও গণ-শৌচাগার নেই। বাজারে আন্ডারগ্রাউন্ড ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই। ফলে বাজারের ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার লোককে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
চুনাখালী হাট বাজারে কয়েকটি টিনশেড স্টল নির্মাণ করা আছে তার মধ্যে তার মধ্যে কয়েকটি পরিত্যক্ত। বাজারে পর্যাপ্ত নলকূপ, প্রস্রাবখানা, টয়লেট নেই। যা আছে তাও ব্যবহারের একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়ায় বাজারের ব্যবসায়ীদের চরম অসুবিধা হচ্ছে। বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত নলকূপ, টয়লেট এবং রাস্তা—াগুলো কার্পেটিংসহ সকল প্রকার উন্নয়ন করা প্রয়োজন।
জানা গেছে, ‘সরকারি হাট-বাজার সমূহের ব্যবস্থাপনা ইজারা পদ্ধতি’ ২০১১-এর নীতিমালা অনুযায়ী সকল শর্তাদি মেনে ২০২৪ সালের মাহবুবুর রহমান ইজারাদাতা স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্রে ভ্যাট, আয়করসহ ১ কোটি ৯৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে চুনাখালী হাট-বাজারটির ইজাদারিত্ব গ্রহণ করেন ইজারাদার মাহবুবুল আলম ।
চুনাখালী হাট-বাজার অবৈধ দখলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ইজারাদার। উপজেলার চুনাখালী হাট বাজারটি প্রতিবছর বাৎসরিক ইজারায় সরকারকে কোটি টাকার উপরে রাজস্ব প্রদান করে আসছে হাট-ইজারাদার। ইজারা চুক্তিপত্রে উল্লেখিত জায়গা বেশিরভাগ অবৈধ দখলদারিত্বে যাওয়ায় এবছরে বড় একটি ‘ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে ইজারাদারকে। ইজারাদার সরকারীভাবে দেওয়া জমা টাকা ও উত্তোলন করতে পারবেনা বলে জানান, ইজারাদার ২০ থেকে ৩০ লাখ লস হবে বলেও জানান। ভবিষ্যাতে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাবে জানান বাজার সংশ্লিষ্টরা।
এবিষয় আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি তারেক হাসান বলেন হাট বাজারের জমি অবৈধ ভাবে দখল হয়ে থাকলে দখলদারদের তালিকা করে উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসক মহোদ্বয়ের কার্যালয়ে প্রেরন করা হবে।
এ ব্যাপারে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ আশরাফুল আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অবৈধ দখলদারিত্ব মুক্ত করতে সময়ের দরকার। সরকারী হাট বাজারের জমি যে কোনমূল্যে রক্ষা করা হবে।