বরিশালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ফেনসিডিলসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক
- আপডেট সময় : ০৩:৪২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৬ বার পড়া হয়েছে
গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি ॥ মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেওয়ায় অবসরপ্রাপ্ত দুই সেনা সদস্যকে দুই দফায় পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুত্বর অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার রাত নয়টার দিকে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- উপজেলার কালুপাড়া গ্রামের শাহ আলম বালীর ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য জাহিদুল ইসলাম (৪৫) ও ভাই জাকিরুল আলম (৩৯)।
এ ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত মাদক ব্যবসায়ীর বাসায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিল, মাদক বিক্রির টাকা ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। এসময় মেঘা বিশ্বাস নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য জাহিদুল আলম অভিযোগ করে বলেন, বাড়ির পাশ্ববর্তী রাজ্জাক সরদারের বাসার ভাড়াটিয়া নারী মাদক ব্যবসায়ী রোকসানা বেগম ও তার দুই ছেলে নাফিজুল ইসলাম ও পিয়াল সরদার দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় মাদক বিক্রি করে আসছে। তাদের মাদক বিক্রিতে বাঁধা দেওয়ায় ওই পরিবারটি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। রোববার রাতে গৈলা বাজারে একটি দোকানের সামনে বসে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলছিলাম। এরইমধ্যে মাদক ব্যবসায়ী রোকসানা ও তার দুই ছেলে নাফিস ও পিয়াল পেছন থেকে আমার ওপর হামলা চালিয়ে পিটিয়ে আমার পা ভেঙ্গে দেয়। আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে দ্বিতীয় দফায় আমার ওপর হামলা চালায়। এসময় আমার অপর ভাই সেনা সদস্য জাকিরুল ইসলাম (এলপিআর) আমাকে রক্ষায় এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে নাফিস ও পিয়াল। অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, আমাদের আহত দুই ভাইকে উদ্ধার করে আগৈলঝাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানেও হামলা চেষ্টা চালায় ওই মাদক পরিবার। হামলা থেকে রেহাই পেতে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছি। এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রোকসানা ও তার দুই ছেলের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের ফোন নাম্বার বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি মোঃ আলম চাঁদ জানান, সোমবার সকালে থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।