বরিশাল ১০:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নলছিটি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন

বরিশাল সময় নিউজ রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৪:২০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ২০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ ঝালকাঠিতে নলছিটি সরকারি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম কবিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ থাকায় তাঁর পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার সকাল ১১ টায় নলছিটি প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন কলেজের কয়েক শত শিক্ষার্থী। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এসময় বক্তব্য রাখেন, কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাবু, বর্তমান সভাপতি রাকিব গাজী, সদস্যসচিব হিমেল ও শিক্ষার্থী রাকিব আহমেদ।

বক্তারা অভিযোগ করেন, রফিকুল ইসলাম কবির নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক পদে রয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ঘণিষ্ঠ হওয়ায় তাকে অবৈধভাবে নলছিটি ডিগ্রি কলেজে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। কলেজে অধ্যক্ষ পদ শূন্য থাকায় তিনিই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর অবৈধ নিয়োগের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে একটি মামলা করা হয়েছিল। মামলায় নিয়োগ স্থগিত করা হলেও দলীয় প্রভাবে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

তিনি বরিশাল সিটি কলেজে ১২ বছর প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন না করে সরাসরি উপাধ্যক্ষ নিয়োগ পান, যেটা পুরোপুরি অনিয়মতান্ত্রিক একটি নিয়োগ ছিল। তার নিয়োগ পরীক্ষায় ২৯ জন প্রার্থী থাকার পরও দলীয় চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। দুইজন ডামি প্রার্থী রেখে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ভারপ্রপ্ত অধ্যক্ষ হয়ে কলেজ সরকারিকরণের কথা বলে শিক্ষকদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে ১৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন।

এ ছাড়া বিভিন্ন সময় ভর্তি ফি ১২৫০ টাকা বোর্ড থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও সেখানে তিনি ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার হাজার টাকা নিয়ে ভর্তি বাণিজ্য করেছেন। এইচএসসি পরীক্ষার এডমিট কার্ড দেওয়া বাবদ প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিয়েছেন। এভাবে নানা কৌশলে অনিয়ম এবং বাণিজ্য করে দীর্ঘ ১২ বছরে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ।

এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম কবির বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করে মানববন্ধন করা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমাকে সমাজে ছোট করার জন্য একদল লোক আমার পেছনে লেগেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নলছিটি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৪:২০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ ঝালকাঠিতে নলছিটি সরকারি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম কবিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ থাকায় তাঁর পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার সকাল ১১ টায় নলছিটি প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন কলেজের কয়েক শত শিক্ষার্থী। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এসময় বক্তব্য রাখেন, কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাবু, বর্তমান সভাপতি রাকিব গাজী, সদস্যসচিব হিমেল ও শিক্ষার্থী রাকিব আহমেদ।

বক্তারা অভিযোগ করেন, রফিকুল ইসলাম কবির নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক পদে রয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ঘণিষ্ঠ হওয়ায় তাকে অবৈধভাবে নলছিটি ডিগ্রি কলেজে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। কলেজে অধ্যক্ষ পদ শূন্য থাকায় তিনিই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর অবৈধ নিয়োগের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে একটি মামলা করা হয়েছিল। মামলায় নিয়োগ স্থগিত করা হলেও দলীয় প্রভাবে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

তিনি বরিশাল সিটি কলেজে ১২ বছর প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন না করে সরাসরি উপাধ্যক্ষ নিয়োগ পান, যেটা পুরোপুরি অনিয়মতান্ত্রিক একটি নিয়োগ ছিল। তার নিয়োগ পরীক্ষায় ২৯ জন প্রার্থী থাকার পরও দলীয় চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। দুইজন ডামি প্রার্থী রেখে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ভারপ্রপ্ত অধ্যক্ষ হয়ে কলেজ সরকারিকরণের কথা বলে শিক্ষকদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে ১৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন।

এ ছাড়া বিভিন্ন সময় ভর্তি ফি ১২৫০ টাকা বোর্ড থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও সেখানে তিনি ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার হাজার টাকা নিয়ে ভর্তি বাণিজ্য করেছেন। এইচএসসি পরীক্ষার এডমিট কার্ড দেওয়া বাবদ প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিয়েছেন। এভাবে নানা কৌশলে অনিয়ম এবং বাণিজ্য করে দীর্ঘ ১২ বছরে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ।

এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম কবির বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করে মানববন্ধন করা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমাকে সমাজে ছোট করার জন্য একদল লোক আমার পেছনে লেগেছে।