বরিশাল ০৯:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোলায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীর সর্বনাশ

বরিশাল সময় নিউজ রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৮:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ১৯ বার পড়া হয়েছে

ভোলা প্রতিনিধি।। ভোলায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে (১৯) সাথে অভিনয় কায়দায় প্রতারণা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোলার দক্ষিণ দিঘলদী বালিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মো. রফিক এর ছেলে, মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।

গত বুধবার (৩০ অক্টোবর)  বোরহানউদ্দিন থানায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ  করেন।

ভুক্তভোগী আকলিমা বেগম ওরফে (আখি) (১৯), পিতাঃ মৃত ফজলুল হক মাতাব্বর, মাতাঃ বিবি মরিয়ম, গ্রাম: জয়া, ৭নং ওয়ার্ডের বোরহানউদ্দিন থানার বাসিন্দা। আকলিমা বেগম আখি বলেন  ২০১৯ইং সাল থেকে মো. মিজানুর রহমানের সাথে আমার ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায় তার সঙ্গে আমার বন্ধুত্বপূর্ণ প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে।  এর পর ফেসবুক ইমো এবং হোয়াটসঅ্যাপ এ আমাদের দুই জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর পর ২০১৯ থেকে ২০২৪ ইং সাল পর্যন্ত মো. মিজান রহমান আমাকে সাথে নিয়ে ভোলা চরফ্যাশন জ্যাকব টাওয়ার, খামার বাড়ী, বাংলা বাজারের কুড়েঘর রেষ্টুরেন্ট দক্ষিন দীঘলদী ইউনিয়নের ইকোপার্কসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফিরা করে ।

মো. মিজানুর রহমান আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কালক্ষেপন করিতে থাকে।  সে আজ কাল বিয়ে করবে বলে আমাকে দীর্ঘ ৫ বছর ঘুরাতে থাকে। এরই মধ্যে তার বিভিন্ন আশ্বাসে তাহার সাথে আমার ইমো হোয়াটসঅ্যাপ এবং মেসেঞ্জারে ভিডিও কলে কথা হতো। আমাকে বিয়ে আশ্বাস দিয়ে সে ভিডিও কলে আমার স্পর্শকাতর স্থান সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ দেখিতো।

সর্বশেষ  সে ০৫ অক্টোবর ২৪ তারিখে আমি মিজানুর রহমানকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে আমাকে ইমো হোয়াটসঅ্যাপ এবং মেসেঞ্জার থেকে ব্লক করিয়া দেয়। এর পর ১০ অক্টোবর ২৪ তারিখে অন্য একটি ইমো একাউন্ট থেকে আমার অশ্লীল একটি ভিডিও পাঠায়। উক্ত ভিডিও পাঠিয়ে বলে যে তুমি যদি আমার সঙ্গে ফোন সেক্স না করো তা হলে তোমার সকল গোপন ভিডিও আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিবো। আমি জানতাম না আমার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার সময় আমার বিভিন্ন আপত্তিকর ভিডিও মোবাইল রেকর্ড করে রাখে।

আমি মিজানুর রহমানের মিথ্যা অঙ্গীকারে বিশ্বাস করিয়া মান-সম্মান সব হারিয়ে ফেলেছি। সমাজে মুখ দেখানো আমার জন্য অসম্ভব হয়ে পরেছে। মিজানুর রহমান যদি আমাকে বিবাহ না করে তাহলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই।

আমি যদি মারা যাই তাহলে এই মৃত্যুর জন্য মিজানুর রহমান দায়ী থাকিবে। তাই আমি উক্ত বিষয় গুলো আমার নিকট আত্মীয় স্বজনে অবগত করিয়া বোরহানউদ্দিন থানায় আসিয়া আইনের আশ্রয় নিতে অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছি।

স্থানীয়রা বলেন মিজানুর রহমানের সাথে আকলিমা বেগম ওরফে আখির সাথে দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এই প্রেমের বিষয়টি মিজানুর রহমানের পরিবারের বাবা, মা, ভাই বোন, দুলাভাই, ও চাচারাসহ বাড়ির সবাই জানত। কিন্তু তারা তাদের ছেলেকে অন্য জায়গায় বিবাহ করাবে বলে। আকলিমা বেগম আখির সাথে প্রতারণা করেছেন।

এ বিষয়ে মিজানুর রহমান ও তার পরিবারের সাথে গণমাধ্যম কর্মীরা যোগাযোগ করার জন্য মোবাইল নাম্বারে কল দিয়ে তাদের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তাদের কোন বক্তব্য নেওয়ার সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের কে বলেন, আকলিমা বেগম ওরফে (আখি) নামের এক তরুণী বাদী হয়ে  লিখিত একটি অভিযোগ করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভোলায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীর সর্বনাশ

আপডেট সময় : ০৩:৩৮:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

ভোলা প্রতিনিধি।। ভোলায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে (১৯) সাথে অভিনয় কায়দায় প্রতারণা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোলার দক্ষিণ দিঘলদী বালিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মো. রফিক এর ছেলে, মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।

গত বুধবার (৩০ অক্টোবর)  বোরহানউদ্দিন থানায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ  করেন।

ভুক্তভোগী আকলিমা বেগম ওরফে (আখি) (১৯), পিতাঃ মৃত ফজলুল হক মাতাব্বর, মাতাঃ বিবি মরিয়ম, গ্রাম: জয়া, ৭নং ওয়ার্ডের বোরহানউদ্দিন থানার বাসিন্দা। আকলিমা বেগম আখি বলেন  ২০১৯ইং সাল থেকে মো. মিজানুর রহমানের সাথে আমার ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায় তার সঙ্গে আমার বন্ধুত্বপূর্ণ প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে।  এর পর ফেসবুক ইমো এবং হোয়াটসঅ্যাপ এ আমাদের দুই জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর পর ২০১৯ থেকে ২০২৪ ইং সাল পর্যন্ত মো. মিজান রহমান আমাকে সাথে নিয়ে ভোলা চরফ্যাশন জ্যাকব টাওয়ার, খামার বাড়ী, বাংলা বাজারের কুড়েঘর রেষ্টুরেন্ট দক্ষিন দীঘলদী ইউনিয়নের ইকোপার্কসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফিরা করে ।

মো. মিজানুর রহমান আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কালক্ষেপন করিতে থাকে।  সে আজ কাল বিয়ে করবে বলে আমাকে দীর্ঘ ৫ বছর ঘুরাতে থাকে। এরই মধ্যে তার বিভিন্ন আশ্বাসে তাহার সাথে আমার ইমো হোয়াটসঅ্যাপ এবং মেসেঞ্জারে ভিডিও কলে কথা হতো। আমাকে বিয়ে আশ্বাস দিয়ে সে ভিডিও কলে আমার স্পর্শকাতর স্থান সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ দেখিতো।

সর্বশেষ  সে ০৫ অক্টোবর ২৪ তারিখে আমি মিজানুর রহমানকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে আমাকে ইমো হোয়াটসঅ্যাপ এবং মেসেঞ্জার থেকে ব্লক করিয়া দেয়। এর পর ১০ অক্টোবর ২৪ তারিখে অন্য একটি ইমো একাউন্ট থেকে আমার অশ্লীল একটি ভিডিও পাঠায়। উক্ত ভিডিও পাঠিয়ে বলে যে তুমি যদি আমার সঙ্গে ফোন সেক্স না করো তা হলে তোমার সকল গোপন ভিডিও আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিবো। আমি জানতাম না আমার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার সময় আমার বিভিন্ন আপত্তিকর ভিডিও মোবাইল রেকর্ড করে রাখে।

আমি মিজানুর রহমানের মিথ্যা অঙ্গীকারে বিশ্বাস করিয়া মান-সম্মান সব হারিয়ে ফেলেছি। সমাজে মুখ দেখানো আমার জন্য অসম্ভব হয়ে পরেছে। মিজানুর রহমান যদি আমাকে বিবাহ না করে তাহলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই।

আমি যদি মারা যাই তাহলে এই মৃত্যুর জন্য মিজানুর রহমান দায়ী থাকিবে। তাই আমি উক্ত বিষয় গুলো আমার নিকট আত্মীয় স্বজনে অবগত করিয়া বোরহানউদ্দিন থানায় আসিয়া আইনের আশ্রয় নিতে অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছি।

স্থানীয়রা বলেন মিজানুর রহমানের সাথে আকলিমা বেগম ওরফে আখির সাথে দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এই প্রেমের বিষয়টি মিজানুর রহমানের পরিবারের বাবা, মা, ভাই বোন, দুলাভাই, ও চাচারাসহ বাড়ির সবাই জানত। কিন্তু তারা তাদের ছেলেকে অন্য জায়গায় বিবাহ করাবে বলে। আকলিমা বেগম আখির সাথে প্রতারণা করেছেন।

এ বিষয়ে মিজানুর রহমান ও তার পরিবারের সাথে গণমাধ্যম কর্মীরা যোগাযোগ করার জন্য মোবাইল নাম্বারে কল দিয়ে তাদের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তাদের কোন বক্তব্য নেওয়ার সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের কে বলেন, আকলিমা বেগম ওরফে (আখি) নামের এক তরুণী বাদী হয়ে  লিখিত একটি অভিযোগ করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।